'এখনও রিয়ালের সঙ্গেই আছে বার্সা, খুঁজছে সমাধানের পথ'

ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপিয়ান সুপার লিগ থেকে একে একে প্রায় সব ক্লাব বেরিয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে এ আসর। মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কিন্তু এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন এ আসরের ও রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনাসহ চারটি ক্লাব নতুন সমাধানে পথ খুঁজছেন বলে জানান এ সভাপতি।

রোববার সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা আসার পরের রাতেই সরে দাঁড়ায় ইংলিশ লিগের চারটি ক্লাব। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও ইতালির দুই মিলান। শর্ত সাপেক্ষে জুভেন্টাসও অপারগতা প্রকাশ করে। বাকী থাকে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। যদিও বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা আগেই জানিয়েছেন এ লিগে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে তাদের সদস্যদের উপর। তারা অনুমতি না দিলে যোগ দিবেন না। কিন্তু এখন লাপোর্তা এ প্রকল্পে আছেন বলে দাবী করেছেন পেরেজ।

বুধবার রাতে স্পেনের রেডিও অনুষ্ঠান এল লারগোরোতে এক সাক্ষাৎকারে পেরেজ বলেছেন, 'কেউ যদি মনে করে সুপার লিগ মৃত, তাহলে তারা পুরোপুরি ভুল। এখন এটি অপেক্ষমাণ অবস্থায় আছে। হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার, বার্সা এখনও আমাদের সঙ্গে আছে। রিয়াল, বার্সা, জুভেন্টাস ও এসি মিলান এখনও আলোচনা করে যাচ্ছে সমাধান খুঁজতে। তারা সরে যায়নি।  আমি ফিফা বা উয়েফাকে ভয় পাই না।'

এ আসরে আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করেই যোগ দিয়েছিল ১২টি ক্লাব। তাই হুট করে বেড়িয়ে যাওয়ায় চাইলেই আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন পেরেজ। কিন্তু এমন কোনো ইচ্ছা নেই তার। সমাধানের পথ খুঁজছেন সভাপতি, '১২ ক্লাবের সবাই একটি বাধ্যবাধকতার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলি এভাবে চলে যেতে পারে না। তবে আমরা আইনি পথে হাঁটব না। সবাই কথা বলে সমাধান বের করব।'

ম্যানচেস্টারের একটি ক্লাব সুপার লিগের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত ছিলেন না বলে জানান পেরেজ। তাদের কাছ থেকেই এ লিগ নিয়ে নেতিবাচক বিষয়টি সবার মাঝে ছড়িয়ে পরে বলে জানান তিনি, 'প্রিমিয়ার লিগের ৬ ক্লাবের একটি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিল না এই প্রকল্প নিয়ে। এটিই বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ম্যানচেষ্টারের মালিকপক্ষ একটি প্রচারণা শুরু করে যে সুপার লিগ হলে ঘরোয়া লিগগুলো শেষ হয়ে যাবে। আমি বলব না, কোন ক্লাব।'

তবে ফিফা ও উয়েফার ভুল প্রচারণাতেই এমনটা হয়েছে জানান সুপার লিগ সভাপতি, 'প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলি চলে যাওয়ার আরেকটি কারণ, ফিফা ও উয়েফা নানা কাণ্ড শুরু করেছিল। এখানে তাদের সমর্থক বা (ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী) বরিস জনসনের কোনো ব্যাপারই নেই। ফিফা ও উয়েফা আমাদেরকে কিছু বোঝানোর সুযোগই দেয়নি। সঠিক লোকদের দিয়ে সংগঠনগুলো পরিচালিত হচ্ছে না। এমন ভাব করা হচ্ছে যেন আমরা অ্যাটম বোম ফেলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

14m ago