মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি করলো নাসার রোভার পারসিভারেন্স

রোভারের মক্সি নামের যন্ত্রটি আকারে একটি টোস্টারের মতো। ছবি: রয়টার্স

নাসার পারসিভারেন্স রোভারের একটি যন্ত্র মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরি করেছে।

বিবিসি জানায়, এই মিশনে এটি দ্বিতীয় প্রযুক্তিগত সাফল্য। এর আগে গত সোমবার নাসা মঙ্গল গ্রহে সফলভাবে একটি মিনি হেলিকপ্টার উড়িয়েছে।

রোভারের ‘মক্সি’ (মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন) নামের একটি টোস্টার আকারের ইউনিট এই অক্সিজেন তৈরির কাজ করেছে। এতে পাঁচ গ্রাম অক্সিজেন তৈরি করা হয়। এই পরিমাণ অক্সিজেন দিয়ে একজন নভোচারী মঙ্গলে প্রায় ১০ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন।

নাসার লক্ষ্য হলো, ভবিষ্যতে মানুষ লাল গ্রহটিতে গেলে পৃথিবী থেকে অক্সিজেন নিয়ে যাওয়ার বদলে মক্সির আরও উন্নত সংস্করণ নিয়ে যাবে। এতে করে নভোচারীরা সেখানেই প্রয়োজনীয় অক্সিজেন তৈরি করে চাহিদা মেটাতে পারবেন। রকেট চালানোর জন্যও অক্সিজেন অপরিহার্য উপাদান।

মঙ্গলের বাতাসের প্রায় সবটাই কার্বন ডাই অক্সাইড, প্রায় ৯৬ শতাংশ। অন্যদিকে মঙ্গলের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ মাত্র শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ ২১ শতাংশ।

‘মক্সি’ কার্বন অণু থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করতে পারে। অক্সিজেন তৈরি হওয়ার পর বর্জ্য হিসেবে কার্বন মনোক্সাইড থেকে যায়। একে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বিবিসি জানায়, নাসার একটি দল ‘মক্সি’ নিয়ে কাজ করছে। তারা এটির কার্যক্ষমতা দেখতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, এটি প্রতি ঘণ্টায় ১০ গ্রাম পর্যন্ত অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারবে।

নাসার স্পেস টেকনোলজি মিশন পরিচালনার প্রযুক্তিচালনা বিভাগের প্রধান ট্রুডি কর্টেস বলেন, ‘মক্সি শুধু অন্য গ্রহে অক্সিজেন তৈরির প্রথম যন্ত্রই নয়, এটি এ ধরনের প্রযুক্তির প্রথম যন্ত্র যা ভবিষ্যতে মিশনগুলোতে অন্য গ্রহের ভূমিতে বসবাসের সময় সেই গ্রহের পরিবেশের উপাদানই ব্যবহার করতে সাহায্য করবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Pilots faked flying records

CAAB inquiry finds, regulator yet to take action

10h ago