বন্যার আশঙ্কায় ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তি, কৃষকের ধান রক্ষায় মাঠে স্বেচ্ছাসেবকরা
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/rice5.jpg?itok=MwxWa3uK×tamp=1619098872)
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওড়ের আকস্মিক বন্যা ও ভারি বৃষ্টিপাত থেকে নিচু জমির ধান বাঁচাতে উপজেলা প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগে সাড়া দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কাস্তে হাতে নিয়ে স্বেচ্ছায় কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীরা।
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/news/images/rice4.jpg?itok=nWBXGXuY×tamp=1619098932)
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইউএনও নজরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হাওর অঞ্চলের ৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে। কিন্তু, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- ভারি বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা আছে। তাই নিচু জমির ধান রক্ষায় আমরা উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে একটি বিজ্ঞপ্তি দিই। তাতে অনেকেই সাড়া দিয়েছেন এবং সকাল থেকে সবাই মিলে ধান কাটা শুরু করি। ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চা সংসদের সভাপতি মনোজ কুমার যাদব বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। লকডাউনের কারণে বাড়িতেই আছি ।বেকার আছি তাই ইউএনও স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করি ও স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটায় যোগ দেয়। ভালো একটি কাজে সম্পৃক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার বলেন, ‘বন্যা হলে উৎপাদনের ২৫ শতাংশ ধান ক্ষতি হবে। এই ধান রক্ষায় উপজেলা অফিসারস ক্লাবের ১৯ জন কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষক ও দপ্তরি, ৩০ জন ছাত্রলীগ কর্মী, সবুজবাগ ম্যারাথন গ্রুপের ১২ সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় চা সংসদের নয় জন, উদ্দীপ্ত তারুণ্য সংঘঠনের সাত জন, স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর সহ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা বলেন, ‘এ বছর শ্রীমঙ্গলে নয় হাজার ৬৫২ হেক্টর জমির মধ্যে নিচু জমির পরিমাণ ৩ হাজার সাতশ ২৭ হেক্টর। এসব নিচু এলাকার কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে বলা হয়েছে।’
Comments