৫৪১ রানে থামল বাংলাদেশ, মুশফিকের ‘প্রত্যাশার বিপরীত’ ব্যাটিং

mushfiq and liton
ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত কিছু রান চান তারা। সেই চাহিদা পূরণের মনোভাব দেখা গেল লিটন দাসের ব্যাটে। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম চালিয়ে না খেলে উল্টো নিজেকে আরও খোলসে বন্দি করে ফেললেন।

শুক্রবার পাল্লেকেলে টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তারা ব্যাটিং করেছে মোট ১৭৩ ওভার। ১৫৬ বলে ৬ চারের সাহায্যে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। তার সঙ্গী তাসকিন আহমেদ মাঠ ছাড়েন ৯ বলে ৬ রানে।

৪ উইকেটে ৪৭৪ রান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের দিন আলো স্বল্পতায় ২৫ ওভার আগেই খেলা শেষ হওয়ায় এদিন ১৫ মিনিট আগে শুরু হয়েছে খেলা। ইনিংস ঘোষণার আগে বাংলাদেশ ১৮ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ৬৭ রান। বলাই বাহুল্য, দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি।

মুশফিক ৪৩ ও লিটন ২৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেন। মুশফিক হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছান ১২০ বলে। সাদা পোশাকে এটি তার ২৩তম ফিফটি। এই ইনিংস খেলার পথে তামিম ইকবালকে টপকে আবারও টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের মুকুট দখল করেন তিনি। তার রান এখন ৪৬০৫, তামিমের ৪৫৯৮।

ফিফটি ছুঁয়েও রানের গতি বাড়ানোর কোনো লক্ষণ দেখাননি মুশফিক। অথচ ম্যাচের আর মাত্র আটটি পূর্ণ সেশন বাকি থাকার কথা তার অজানা নয়। তাছাড়া, বেশ কিছু ওভারের ঘাটতিও তৈরি হয়েছে ইতোমধ্যে। তাই অল্প সময়ে বেশি রান তোলা ছিল পরিস্থিতির দাবি।

দিনের প্রথম ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ২টি চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দেন লিটন। ওই ওভার থেকে আসে ১২ রান। তিনি পরেও চেষ্টা করেন রানের চাকার গতি বাড়াতে। প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেশ দ্রুত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

লিটন ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্টে ফিফটিতে পৌঁছান ৬৬ বলে। তবে পরের বলেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। বিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে তিনি ক্যাচ দেন গালিতে। তার ৫০ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ১ ছক্কা।

লিটনের বিদায়ে ভাঙে আরেকটি ভালো জুটি। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকের সঙ্গে ১৪৬ বলে ৮৭ রান যোগ করেন তিনি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম টেকেননি বেশিক্ষণ উইকেটে।

একবার নিজে রিভিউ নিয়ে এবং একবার লঙ্কানদের রিভিউ থেকে বাঁচেন মিরাজ। কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত সুরঙ্গা লাকমলের ওই ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। তাইজুল হন পেসার বিশ্বর চতুর্থ শিকার। দুজনের ক্যাচই নেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকাভেলা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৭৩ ওভারে ৫৪১/৭ (ইনিংস ঘোষণা) (তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, মুশফিক ৬৮*, লিটন ৫০, মিরাজ ৩, তাইজুল ২, তাসকিন ৬*; লাকমল ১/৮১, বিশ্ব ৪/৯৬, কুমারা ১/৮৮, ম্যাথিউস ০/১৪, ধনঞ্জয়া ১/১৩০, হাসারাঙ্গা ০/১১১, করুনারত্নে ০/৬)।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

1h ago