মুম্বাইকে উড়িয়ে দিল পাঞ্জাব
কাজের কাজটা সেরে রাখেন বোলাররাই। দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা রাখে হাতের নাগালে। এরপর বাকী কাজ সারেন ব্যাটসম্যানরা। তাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে পাঞ্জাব কিংস। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেয়েছে দলটি।
চেন্নাইয়ে শুক্রবার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩১ রান করে মুম্বাই। জবাবে ১৪ বল বাকী থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় লোকেশ রাহুলের দল।
অবশ্য চলতি আসরে চেনা রূপে দেখা যাচ্ছে না মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানদের। এখন পর্যন্ত সে অর্থে জ্বলে উঠতে পারেনি তাদের ব্যাটসম্যানরা। দুটি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা আসে বোলারদের সৌজন্যেই। আসরে দলটির সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৯।
সে ধারায় এদিনও ব্যর্থ দলটি। যদিও এদিন এক প্রান্ত ধরে উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন ড্যাশিং ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেননি। দলীয় ২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে দলের হাল ধরেছিলেন। জুটিও গড়েন ৭৯ রানের। কিন্তু মন্থর গতিতে।
সূর্যকুমার যখন আউট হন তখন দলের রান ১০৫। ওভার শেষ হয় ১৬.১ ওভার। এরপর কাইরন পোলার্ড ও পান্ডিয়া ভাইরা ব্যাট করতে নেমেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ফলে ১৩১ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন রোহিত। ৫২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। পাঞ্জাবের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি ও রভি বিশ্নই।
১৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দেখে শুনেই ব্যাট করতে থাকে পাঞ্জাব। শুরুটাও ভালো হয়। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৫৩ রান করেন অধিনায়ক রাহুল। এরপর আগরওয়াল বিদায় নিলে ক্রিস গেইলকে নিয়ে বাকী কাজ শেষ করেন অধিনায়ক।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ হার না মানা ৬০ রান করেন রাহুল। ৫২ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক। ৩৫ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন গেইল। আগরওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
Comments