প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপনের কাজ শুরু জুনে: প্রকল্প পরিচালক
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপনের কাজ শুরু হবে আগামী জুন মাসে। প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ইউনিটের যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজ শেষ হলে রিঅ্যাক্টর ভবনে চলতি বছর জুন মাসেই প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টরটি স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে।’
তিনি বলেন, পারমাণবিক প্রকল্পে রিয়্যাকটর স্থাপনই মূল কাজ।
এটি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করতে হয় ফলে প্রকল্প এলাকায় এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কাজ নির্ভুলভাবে করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প এলাকায় প্রথম ইউনিটের যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য রিঅ্যাক্টর ও স্টিম জেনারেটরসহ ভারী যন্ত্রপাতি দেশে এসে পৌঁছায়।
প্রথম ইউনিটের সব যন্ত্রপাতি ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকায় নিয়ে সংযোজনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে, রাশিয়ার পারমাণবিক সংস্থা রোসাটম গত ২০ এপ্রিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর ও স্টিম জেনারেটরসহ ভারী যন্ত্রপাতি রাশিয়ার ভল্গোডন্স্ক থেকে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের এসব যন্ত্রপাতি যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষার পর পাঠানো হয়।
প্রকল্প কর্মকর্তারা আশা করছেন, ৩২০টন ওজনের রিঅ্যাক্টর এবং ৩৪০ টন ওজনের দুটি স্টিম জেনারেটর আগামী জুন নাগাদ দেশে এসে পৌঁছাবে। তারা বলেছেন, দ্বিতীয় ইউনিটের ভারী মালামাল প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর পর প্রকল্পের কাজে গতি আরো বাড়বে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পের প্রায় ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
করোনার ঝুঁকি থাকলেও দেশের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প হিসেবে প্রতিটি কাজ শিডিউল অনুযায়ী নিয়মমাফিক করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
প্রথম ইউনিটের কাজ এগিয়ে চলেছে, দ্বিতীয় ইউনিটের ঊল যন্ত্রাংশ পৌঁছানোর পর প্রকল্পের মূল পর্যায়ের কাজ আরও গতিশীল হবে বলে জানান তিনি।
পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে ১২০০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করা হবে। যা থেকে ২৪০০ মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের আর্থিক এবং কারিগরি সহযগিতা করছে রাশিয়া।
প্রকল্পের প্রথম ইউনিটটিতে ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হবে ২০২৪ সালে।
আরও পড়ুন-
Comments