নিখোঁজ সাবমেরিনের ‘ধ্বংসাবশেষ’ পাওয়া গেছে: ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী

INDONESIA SUBMARINE.jpg
ইন্দোনেশিয়ান নেভির চিফ অব স্টাফ ইউদো মারগানো এক সংবাদ সম্মেলনে ওই টুকরোগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে ধারণা করছে দেশটির নৌবাহিনী।

সিএনএন জানায়, ৫৩ জন আরোহীসহ হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির ছয় টুকরো ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে। বালি সাগর, যেখানে সাবমেরিনটি হারিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকেই এগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার ইন্দোনেশিয়ান নেভির চিফ অব স্টাফ ইউদো মারগানো এক সংবাদ সম্মেলনে ওই টুকরোগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

ইউদো জানিয়েছেন, গ্রিজের বোতল, টর্পেডো লঞ্চারের কিছু অংশ, ধাতব নল জাতীয় কিছু, প্রার্থনা করার চাদর ও জ্বালানীর মতো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এগুলো নিখোঁজ হওয়া ওই সাবমেরিনের অংশ বলেই বিশ্বাস করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এগুলো এমন জায়গায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে যেখানে সমুদ্রের গভীরতা ৮৫০ মিটার। ওই সাবমেরিনের পূর্ববর্তী মিশনে থাকা কয়েকজন নিশ্চিত করেছেন যে, ধ্বংসাবশেষের কয়েকটি জিনিস ওই সাবমেরিনে ছিল।

গতকাল শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সাবমেরিনটি এখনো অক্ষত থাকলে ও সরঞ্জামগুলো ঠিকভাবে কাজ করলে শনিবার ভোর পর্যন্ত সেটিতে অক্সিজেন থাকতে পারে।

ইউদো জানান, সাবমেরিনে বিস্ফোরণ হয়নি, তবে সেটির ওপর প্রচণ্ড চাপের ফলে একটি ফাটল সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। ওই ফাটল দিয়েই কিছু জিনিস বের হয়ে এসেছে।

বুধবার ভোররাতে কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি ৫৩ জন আরোহীসহ নিখোঁজ হয়। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, সাবমেরিনটি বালি দ্বীপের উত্তরে একটি প্রশিক্ষণ মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে সেটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নিখোঁজ সাবমেরিনের অনুসন্ধানে সহায়তা পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র সাবমেরিনটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য একটি পি-৮ পসেইডন সাবমেরিন হান্টিং বিমান পাঠিয়েছে। অনুসন্ধানে সহায়তার জন্য অস্ট্রেলিয়া হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। ভারতও গভীর জলে উদ্ধারকারী একটি জাহাজ পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন:

সাবমেরিনের খোঁজ মেলেনি, ‘অজানা বস্তু’ শনাক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী

৫৩ আরোহীসহ নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন

Comments

The Daily Star  | English

Rizwana reaffirms that election will be held between December and June

"People may have many expectations, but to fulfill them, the enabling environment must be in place"

2h ago