টেস্ট ক্রিকেটে এমন উইকেট খুব কঠিন: তাসকিন
টেস্ট শুরুর আগে বলা হয়েছিল পাল্লেকেলের উইকেটে থাকবে পেসারদের জন্য সহায়তা। কিন্তু পরে দেখা গেল সেটা কেবল ব্যাটসম্যানদেরই স্বর্গোদ্যান। তাতে দিনভর হতাশায় পুড়ে বাংলাদেশ থাকল উইকেটবিহীন। দিনশেষে তাসকিন আহমেদ জানালেন, এমন কঠিন উইকেটে তাদের করার ছিল সামান্যই।
শনিবার পাল্লেকেলে টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৫১২ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে তারা পিছিয়ে আছে কেবল ২৯ রান। এদিন আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৭৬ ওভারেই ২৮৩ রান তুলে স্বাগতিকরা। দিমুথ করুনারত্নে ২৩৪ আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা খেলছেন ১৫৪ রানে।
নির্ভেজাল রান উৎসবের দিনে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিনই ছিলেন সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী। এখন পর্যন্ত ২৫ ওভার বল করে ৯১ রানে ১ উইকেট তার। কিন্তু এই পরিসংখ্যান বোঝাতে পারছে না তার ধার। সকালে নতুন বল হাতে নিয়ে বারবার লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করেছেন তিনি।
সকালের সেশনেই অন্তত দুবার উইকেট নেওয়ার কাছে চলে গিয়েছিলেন। দিনের বাকি সময়ে যখনই বল করতে এসেছেন চাপ জারি রেখেছেন। করুনারত্নে ১৯৮ রানে তার বলে অল্পের জন্য রক্ষা পান।
কিন্তু তাসকিনের ঠিক বিপরীত ছিলেন বাকিরা। আবু জায়েদ রাহিকে দেখা গেছে একদম বিবর্ণ। তাসকিনের এনে দেওয়া চাপ সরিয়ে আলগা বল করেছেন অহরহ, মারও খেয়েছেন সবচেয়ে বেশি। ইবাদত হোসেনও আগের দিন দারুণ পেসে বল করে ঝাঁজ দেখালেও এদিন সুবিধা করতে পারেননি। দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর তাইজুল ইসলামের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলার বদলে করেছেন নির্ভার।
দিনশেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে তাসকিন জানালেন বোলারদের দায় দিয়ে লাভ নেই। মূলত উইকেটের ধরণের কারণেই তাদের করার বিশেষ কিছু ছিল না, ‘সত্যি কথা বলতে টেস্ট ক্রিকেটে এমন উইকেট খুব কঠিন বোলারদের জন্য। ওদের লাকমালও কিন্তু ৩৫ ওভার বল করেছে (৩৬ ওভারে ৮১ রানে ১ উইকেট)। আমাদের বাকি যারা করেছে ভাল করেছে। উইকেটটা এমন যে, সুযোগ তৈরি হওয়ার জায়গা কম ছিল। ভালো বলও ঊনিশ-বিশ হলে বাউন্ডারি হয়ে যাচ্ছে। আরেকটু ভাল উইকেট যদি হতো, উইকেটে সহায়তা যদি থাকত তাহলে ভাল হতো।’
ম্যাচের যা পরিস্থিতি দুদলের প্রথম ইনিংস ফুরোনোর আগেই শেষ হয়ে গেছে চারদিন। এই টেস্টে মিরাকল না হলে ফল হওয়ার অবস্থা নেই। তাসকিনও মানেন সেটা।
একই ভেন্যুতে হবে দ্বিতীয় টেস্টেও। তাসকিনের আশঙ্কা সেই টেস্টেও একই ধরণের উইকেট থাকলে বোলারদের কাজটা হবে একইরকম কঠিন, ‘এই টেস্টে ড্র হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু এটা যেহেতু ক্রিকেট, যেকোন সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। দ্বিতীয় টেস্টে এমন উইকেটে খেলা হলে আরও আঁটসাঁট হতে হবে, আরও রান আটকে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গায় বল ফেলতে হবে। এছাড়া তেমন কিছু করার নেই আসলে।’
Comments