নজর কাড়লেন মোস্তাফিজ, কলকাতাকে অনায়াসে হারাল রাজস্থান

মন্থর উইকেটে ১৩৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে রাজস্থান জিতেছে ৬ উইকেটে।
mustafiz kolkata
ছবি: আইপিএল ওয়েবসাইট

আগের দুই ম্যাচে হতাশ করা মোস্তাফিজুর রহমান নজর কাড়লেন বল হাতে। তার দীপ্তি ছড়ানোর রাতে ক্রিস মরিস নিলেন ৪ উইকেট। প্রতিপক্ষ কলকাতা নাইট রাইডার্স তাতে আটকে গেল অল্প রানে। পরে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৭ বল হাতে রেখে জিতল রাজস্থান রয়্যালস।

শনিবার আইপিএলে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতাকে টানা চতুর্থ হারের স্বাদ দিয়েছে রাজস্থান। মন্থর উইকেটে ১৩৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে তারা জিতেছে ৬ উইকেটে। এবারের আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।

কলকাতার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। কাটার দিয়ে পঞ্চম বলেই পেতে পারতেন উইকেট। ডাইভ দিয়েও ওপেনার শুবমান গিলের ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন যশস্বী জাইসওয়াল। ওই ওভারে আসে ৭ রান। এক ওভার পর আক্রমণে ফিরে মাত্র ২ রান দেন দ্য ফিজ।

মোস্তাফিজের হাতে আবার বল তুলে দেওয়া হয় ১৬তম ওভারে। ৫ রান দিয়ে তিনি বিদায় করেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রাহুল ত্রিপাঠিকে। ডিপ মিড উইকেটে দারুণ ক্যাচ নেন রিয়ান পরাগ। ইনিংসের ১৯তম ও নিজের শেষ ওভারে লেগবাইসহ ৯ রান খরচ করেন দ্য ফিজ। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২২ রানে তার শিকার ১ উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কলকাতার। মোস্তাফিজ, মরিসের পাশাপাশি জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়ার আঁটসাঁট বোলিংয়ের পাল্টা জবাব জানা ছিল না তাদের। পাওয়ার প্লেতে গিলের উইকেট হারিয়ে তারা তোলে মোটে ২৫ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় রানের চাকা সচল করতে পারেনি কলকাতা। থিতু হয়ে বিদায় নেন ওপেনার নিতিশ রানা। সুনীল নারিন আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। অধিনায়ক ওয়েন মরগ্যান দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হন কোনো বল না খেলেই।

আগের ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ঝড় তুলেছিলেন দীনেশ কার্তিক, আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্স। এদের সবাইকে সাজঘরে পাঠান ক্রিস মরিস। কলকাতার পক্ষে ২৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ত্রিপাঠি। এছাড়া, দুই অঙ্কে পৌঁছান কেবল চার জন।

রাজস্থানের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ২১ রানের মাথায় আউট হন জস বাটলার। আরেক ওপেনার জাইসওয়াল বিদায় নেন ১৭ বলে ২২ করে। তবে তিনে নামা স্যামসন ছিলেন অবিচল। তৃতীয় উইকেটে শিভাম দুবের সঙ্গে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি।

এরপর রাহুল তেওয়াতিয়া দ্রুত ফিরলেও ডেভিড মিলারকে নিয়ে বাকিটা সারেন স্যামসন। পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে ৪১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ৪২ রানে। তার ইনিংসে ছিল ২ চার ও ১ ছক্কা। মিলার ২৩ বলে ২৪ রান করেন ৩ চারে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৩৪ বলে আসে ৩৪ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০ ওভারে ১৩৩/৯ (রানা ২২, শুবমান ১১, ত্রিপাঠি ৩৬, নারিন ৬, মরগ্যান ০, কার্তিক ২৫, রাসেল ৯, কামিন্স ১০, মাভি ৫, কৃষ্ণা ০*; উনাদকাট ১/২৫, সাকারিয়া ১/৩১, মোস্তাফিজ ১/২২, মরিস ৪/২৩, তেওয়াতিয়া ০/২৪, দুবে ০/৫)

রাজস্থান রয়্যালস: ১৮.৫ ওভারে ১৩৪/৪ ওভারে (বাটলার ৫, জাইসওয়াল ২২, স্যামসন ৪২*, দুবে ২২, তেওয়াতিয়া ৫, মিলার ২৪*; মাভি ১/১৯, কামিন্স ০/৩৬, বরুণ ২/৩২, নারিন ০/২০, কৃষ্ণা ১/২০)।

ফল: রাজস্থান ৬ উইকেটে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

$8b climate fund rolled out for Bangladesh

In a first in Asia, development partners have come together to announce an $8 billion fund to help Bangladesh mitigate and adapt to the effects of climate change.

8h ago