স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, না হলে আবারও লকডাউন: কাদের

লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছবি: ফাইল ফটো

লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শপিং মল, দোকান-পাট ও বাজারগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

আজ রোববার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষ সাহায্য পাওয়ার যোগ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ত্রাণ ও নগদ অর্থ যেন বেহাতে না যায় সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। যথাযথ জায়গায় যেন ত্রাণ পৌঁছে সেদিকেও নজর দিতে হবে।

শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম ডোজের মতো করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাও যথাসময়ে জনগণ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। যারা সংশয়বাদী তারা সব কিছুতেই অনিশ্চিয়তা খুঁজে বেড়ায়, ছড়িয়ে দেয় বিভ্রান্তি। এ বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার বিএনপির নতুন কোনো রোগ নয়, তারা অনেক আগে থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত।

বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন। লকডাউন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যতটুকু গবেষণা করেছেন, তা বন্ধ করে জনগণকে সচেতন করার জন্য দুএকটি বক্তব্য রাখলে করোনার সংক্রমণ রোধে সামান্যতম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতো। বিএনপি প্রথমে বলেছিলে লকডাউন চাই। পরে বলে লকডাউন সমাধান নয়। আবার বলছে লকডাউন পরিকল্পিত নয়। এখন বলছে লকডাউনের নামে নেতাকর্মীদের অত্যাচার করছে সরকার। ক্ষণে ক্ষণে অ্যামিবার মতো অবয়ব পরিবর্তন ও ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করা বিএনপির লক্ষ্য— বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago