স্বাস্থ্যবিধি পালন না করলে পরিস্থিতি ভারতের মতো হতে পারে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন না করলে বাংলাদেশের অবস্থা ভারতে মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাশের দেশ ভারতে যে ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে তা অত্যন্ত মারাত্মক। এটির চারদিকে সংক্রমণ ছড়ানোর তিন শ গুণ বেশি ক্ষমতা রয়েছে। আমরা যদি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালন না করি, তাহলে আমাদের চিত্র পার্শ্ববর্তী দেশের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে যেতে পারে।

রোবেদ আমিন বলেন, ভারতের ভ্যারিয়েন্ট যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। কোয়ারেন্টিন অবশ্যই ১৪ দিন হতে হবে। এর কমে কোয়ারেন্টিন সম্ভব নয়। কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়, এতে আরও অনেক মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা যদি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জিনিসটি দেখতে চাই, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হলে সবচেয়ে ভালো হয়। যদি তা না-ও হয়, যদি কেউ বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকেন তাহলেও ১৪ দিন কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।

আজ থেকে সীমিত আকারে দোকান-পাট, শপিং মল খুলে দেওয়া হচ্ছে এবং গণপরিবহন চালুর বিষয়েও সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। এ অবস্থায় জনগণকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। ব্যবসায়ীদের পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি মেনে চলতেই হবে— বলেন মোহাম্মদ রোবেদ আমিন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ করতে হবে, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনই একমাত্র পথ নয়। ভ্যাকসিন একটি মাত্র পথ। পৃথিবীতে যতগুলো প্রমাণিত বিষয় আছে তার একটি হলো সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। মাস্কের কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রমাণ এসেছে। জরুরি প্রয়োজনে টিকা পেতে ছয়টি দেশের সমন্বয়ে একটি ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি টু সাউথ এশিয়া ফোরামে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রীতি ও ভালোবাসার নিদর্শন স্মরূপ চীন সরকার বাংলাদেশকে ছয় লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা উপহার হিসেবে প্রদান করবে বলেছে। এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছি। এখনো কিছু টিকা পাওয়ার কথা। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট তাদের বাধাগত কারণে এখন পর্যন্ত আমাদের টিকাগুলো দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে বলেছে, অন্তত ২০ লাখ টিকা যেন শিগগির আনার চেষ্টা করা হয়।

এ ছাড়া, রাশিয়ার ভ্যাকসিন এ দেশে প্রস্তুত করার জন্য সরকার আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

47m ago