‘আজ পর্যন্ত গত বছরের লকডাউনের এক টাকাও পাইনি’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলমান লকডাউনে বন্ধ আছে সিনেমার শুটিং। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এফডিসির অতিরিক্ত শিল্পীরা। কাজ না থাকায় সিনেমার অতিরিক্ত শিল্পী, প্রোডাকশন বয়, বিভিন্ন বিভাগের সহকারীদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। লকডাউনের চলাকালে এখনো পর্যন্ত চলচ্চিত্রের কোনো সংগঠনই তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। অথচ, গত বছরের লকডাউনের সময় সিনেমার অনেক সংগঠন এসব কর্মহীন শিল্পী কলা-কুশলীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
গতবছর লকডাউনের সময় আর্থিক প্রণোদনার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর ২৩১ জন কর্মহীন শিল্পী, কলাকুশলীর তালিকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, এখনো সেই প্রণোদনা আসেনি।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটা ঠিক যে এবার আমরা এসব কর্মহীন শিল্পী, কলাকুশলীদের কোনো ধরনের সহায়তা করতে পারিনি। তবে, গতবার তাদের সহযোগিতা করেছিলাম। এতে সিনেমার অনেক মানুষের বিরাগভাজন হয়েছি। সেই অভিমান থেকেই এবার কিছুই করিনি। কিন্তু, কত সময় অভিমান করে থাকব। আগামী তিনদিনের মধ্যে পরিচালক সমিতির সঙ্গে মিলে কিছু ব্যবস্থা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবছর লকডাউনের সময় তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবর আর্থিক প্রণোদনার জন্য ২৩১ জন শিল্পী, কলাকুশলীর তালিকা জমা দিয়েছিলাম। পরে কিছু সমস্যা দেখা দিলে সেটা ঠিকঠাক করে আবার তালিকা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু, আজ পর্যন্ত একটি টাকাও পাইনি। তথ্য মন্ত্রণালয় কিছুই জানায়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের সবার অনুরোধ এসব শিল্পীদের তালিকা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে হয়তো তারা বেঁচে থাকাটা সহজ হবে।’
পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এসব কর্মহীন শিল্পী-কলাকুশলীদের তালিকা করেছি। এখন একবার চাল, ডাল তেল জাতীয় কিছু দেব। ঈদের আগে আরেকবার ভালোকিছু করব আশা করছি। ঈদের আগে তাদের কিছু কিছু অর্থও দেওয়ার ইচ্ছা আছে। দেখা যাক কী হয়।’
কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পীদের একজন শেফালী। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা এখন কতটা খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সেটা বোঝাতে পারব না। আগে এফডিসিতে এলে কাজ না থাকলেও পরিচিত অনেক প্রযোজক, পরিচালককে সালাম দিলেই কিছু টাকা পেতাম। লকডাউন ও করোনার কারণে সেটাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। লকডাউনে অনেকেই আসেন না এখানে। আমাদের পেটে লাথি পড়েছে। আগামী দিনগুলোতে কী হবে তাও বুঝতে পারছি না।’
Comments