টিকিট নিয়ে বিতণ্ডা, শিমুলিয়া ঘাটে মা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাটে টিকিট নিয়ে বিতণ্ডার জেরে মা, তার ভাই ও দুই ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন টিকেট বিক্রেতার বিরুদ্ধে।
টিকিট নিয়ে বিতণ্ডার জেরে শিমুলিয়া ঘাটে মা ও ছেলেকে মারধর করেন টিকিটবিক্রেতারা। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/ স্টার

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাটে টিকিট নিয়ে বিতণ্ডার জেরে মা, তার ভাই ও দুই ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন টিকেট বিক্রেতার বিরুদ্ধে।

রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর ফেরিঘাটের প্রবেশপথে টিকেট কাটা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও নৌ-পুলিশ সদস্যের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ফিরোজা বেগম তার ভাই এবং দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে শরিয়তপুর জেলার দেওয়ানকান্দি যাচ্ছিলেন। শিমুলিয়া ঘাটে টিকিট বিক্রেতার কাছ থেকে টিকিট না নিয়ে কাউন্টারের মাধ্যমে নিতে চাইলে তাদের পেটানো হয়।

ভুক্তভোগী রাসেল অভিযোগ করেন, 'ভুয়া টিকিট বিক্রেতা ভেবে কাউন্টারে যেতে চাইলে টিকিট বিক্রেতা সামসুল হক গায়ে ধাক্কা দিয়ে মারা শুরু করেন। মারধর থেকে বাঁচাতে মা এগিয়ে এলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে লাথি মারার চেষ্টা করে। এছাড়া অশালীন ভাষায় বকাও দেওয়া হয়। আশেপাশের টিকেটম্যানরা একত্রিত হয়ে মারধোর করে। একজনের গালে ঘুষি দিয়ে রক্ত বের করা হয়। ট্রাফিক পুলিশের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আর মারধর শেষে একজন নৌ-পুলিশ আসে। তারা দূর থেকে না দেখে এগিয়ে এলে এ ঘটনা ঘটতো না।'

অভিযুক্ত টিকিট বিক্রেতা মো. সামসুল হক বলেন, ‘টিকিট নিতে বললে অন্য ব্যক্তিকে দেখিয়ে ধাক্কা দিয়ে গায়ে হাত তোলে এক যাত্রী। এরপর আমিও মারধর করি। পরে আশেপাশের টিকিট বিক্রেতারা এগিয়ে আসে।’

ঘটনাস্থলের কাছে থাকা মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মো. রাসেল জানান, ভাড়া নিয়ে টিকিট বিক্রেতাদের সঙ্গে যাত্রীর বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। মারধরের পর্যায় না যাওয়ায় পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি।

মাওয়া নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, অভিযুক্ত টিকিট বিক্রেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা নৌ-পুলিশ সদস্যের বিষয়ে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে।  

শিমুলিয়াঘাটের বিআইডব্লিউটিসি'র ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ জানান, ফেরিতে যাত্রীদের হয়রানি করা হলে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

যাত্রীদের হয়রানির বিষয়টি ঘাট কর্তৃপক্ষ তদারকি করে থাকেন। তারা ব্যবস্থা না নিলে যাত্রীকে প্রমাণপত্রসহ উপজেলা প্রশাসনকে জানাতে হবে বলে জানিয়েছেন লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

7h ago