মামুনুলের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে: পুলিশ

হেফাজত নেতা মামুনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ আজ রবিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৫ সালে পাকিস্তান সফরের সময় মামুনুল ও তার শ্যালক নিয়ামাতুল্লাহ ওই জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ওই সময়ে এই দুজন পাকিস্তানে প্রায় ৪৫ দিন অবস্থান করেন এবং একটি রাজনৈতিক দলের কাঠামো সংগ্রহ করেন। যেটি মামুনুল পরে হেফাজতে প্রয়োগের চেষ্টা করেন।

হারুন অর রশিদ জানান, তারা মামুনুলক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি জানতে পেরেছেন।

মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলায় মামুনুল হক বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ডে আছেন।

হারুন অর রশিদ আরও জানান, তারা মামুনুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন এবং বিশাল লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মামুনুল ভারতের বাবরি মসজিদের নামে পাকিস্তান, দুবাই এবং কাতার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। পরে দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণে এই অর্থ ব্যবহার করেন মামুনুল।’

তবে, লেনদেনের পরিমাণ প্রকাশ করেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এর আগে, গত ১৭ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরের দিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ বলেছেন- হেফাজতের ব্যানারে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন দেশে আবারও অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তারা যতোই আপোষ করুক না কেন তাদের অপরাধের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি জানান, হেফাজত একটি অরাজনৈতিক দল, কিন্তু তাদের আকস্মিক রাজনৈতিক কর্মসূচি সন্দেহমূলক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা ধর্মঘটের নামে থানা, ভূমি অফিস, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ জাদুঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

‘যারা এই সহিংসতায় সহায়তা ও প্ররোচনা দিয়েছে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে,’ যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন:

হেফাজত নেতা মামুনুল গ্রেপ্তার

সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: পুলি 

মামুনুলের ৭ দিনের রিমান্ড

Comments