রৌমারীতে সরকারি ওষুধ পোড়ানোর দায় নিচ্ছে না কেউ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সরকারি ওষুধ পোড়ানোর অভিযোগ উঠলেও এর দায় নিচ্ছে না কেউই।
গতকাল রোববার বিকালে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে মসজিদের পাশের পরিত্যক্ত জায়গায় ওষুধগুলো পোড়ানো অবস্থায় দেখতে পান মসজিদে নামাজ পড়তে আসা কয়েকজন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মুহূর্তেই হাসপাতাল চত্বরে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। হাসপাতাল চত্বরে ওষুধ পোড়ানোর এমন ঘটনা ঘটলেও না জানে না বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবনের ৩০ গজ দূরেই হাসপাতাল মসজিদ। এই মসজিদ লাগোয়া পরিত্যক্ত একটি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের নামিদামি সরকারি ওষুধ পোড়ানো অবস্থায় স্তূপ আকারে পড়ে রয়েছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মজিদুল ইসলাম (৪৫) অভিযোগ করে বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে আসলে সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। অথচ সরকারের কয়েক লাখ টাকার ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।’
পোড়ানো ওষুধগুলো সরকারি বলে নিশ্চিত করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কে বা কারা সরকারি ওষুধগুলো পুড়িয়েছে তা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সেলিম মিয়াকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Comments