করোনা: পরিবারের জন্য আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন অশ্বিন
পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা লড়ছেন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের এই স্পিন অলরাউন্ডার তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইপিএল থেকে বিরতি নেওয়ার।
রবিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অশ্বিন। তার সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আইপিএলের চলমান আসরে ফেরার আশাবাদও জানিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।
সুপার ওভারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দিল্লির রোমাঞ্চকর জয়ের পর আইপিএল ছাড়ার ঘোষণায় অশ্বিন লিখেছেন, ‘কাল (সোমবার) থেকে এ বছরের আইপিএল থেকে আমি বিরতি নিচ্ছি। কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিপক্ষে লড়ছে আমার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। এই কঠিন সময়ে আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘পরিস্থিতি সঠিক দিকে এগোলে আমি খেলায় ফিরব বলে প্রত্যাশা করি। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ধন্যবাদ।’
কয়েকদিন আগে ভারতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়েও টুইট করেছিলেন অশ্বিন। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকা কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তিনি সবাইকে নিরাপদে থাকতে আহ্বান করেছিলেন, ‘আমার দেশের চারিদিকে যা ঘটছে, তা দেখে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাওয়াদের সঙ্গে আমি যুক্ত না থাকলেও তাদের প্রত্যেকের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সতর্ক ও সুরক্ষিত থাকার জন্য আমি প্রত্যেক ভারতীয়ের প্রতি আমি আন্তরিক আবেদন জানাই।’
অশ্বিনের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে দিল্লি লিখেছে, ‘এই কঠিন সময়ে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের প্রতি আমরা পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। দিল্লি ক্যাপিটালসের সকলের পক্ষ থেকে আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য শক্তি কামনা ও প্রার্থনা করছি।’
এবারের আইপিএলে সময়টা ভালো কাটেনি অশ্বিনের। ৫ ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে করেছেন ৪ বলে ৭ রান। তার দল দিল্লি অবশ্য ছন্দে আছে। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। সোমবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে মারা গেছেন ২ হাজার ৮১২ জন। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জন।
Comments