বেনাপোলে যাত্রী পারাপার বন্ধ, ওপারে আটকা ৩ শতাধিক বাংলাদেশি
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে তিন শতাধিক বাংলাদেশি। আটকে পড়া যাত্রীদের বেশিরভাগ রোগী ও শিক্ষার্থী।
আজ সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। তবে, দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক ছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত আগামী ৯ মে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে সীমান্ত পথ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বৈঠকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে, হঠাৎ করে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি যাত্রী সকাল ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে ভিড় জমান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘১৪ দিন ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশনাপত্র ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছি। সকাল থেকে যাত্রীদের পাসপোর্টের যে আনুষ্ঠানিকতা সেটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে চিঠির তথ্য অনুযায়ী যদি কারো হাইকমিশনার কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র থাকে তাদের ক্ষেত্রে যাতায়াতে বাধা নেই।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘সরকারের নিষেধাজ্ঞায় সকাল থেকে কোনো যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেনি। ভারত থেকেও কোনো যাত্রী বাংলাদেশে আসেনি। তবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ না থাকায় আমদানি-রপ্তানি ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস সচল আছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, গতকাল রবিবার সর্বশেষ ভারত থেকে ৫৭০ জন বাংলাদেশি যাত্রী দেশে ফিরেছেন। এসব যাত্রীর মধ্যে ৩ জন করোনা পজিটিভ ছিল। এরা ভারতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকা ১১ জনকে বেনাপোল রজনীগন্ধা আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
Comments