পালানো ১০ করোনা রোগীর সন্ধান পেয়েছে পুলিশ

Jessore Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে যে ১০ জন করোনা রোগী পালিয়েছিলেন তাদের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে সাত জন ভারতফেরত। তাদেরকে এখন যশোর জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করা হবে।

গত শুক্র ও শনিবার ভারত থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে সাত জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। পরে তাদের যশোর জানারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রোববার থেকে তাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। এদের সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি আরও তিন জন করোনা রোগী পালিয়ে যান।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ভারত থেকে আসা সাত জন করোনা রোগীর মধ্যে খুলনায় তিন জন, সাতক্ষীরায় দুই জন, যশোর ও কুষ্টিয়ায় এক জন করে করোনা রোগীর সন্ধান পেয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনকে জানিয়েছে পুলিশ। এই রোগীদের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

পলাতক করোনা রোগীদের তালিকার একটি কপি দ্য ডেইলি স্টারের হাতে এসেছে। তালিকার এক ও চার নম্বর ‘পলাতক রোগী’র নামের পাশে একই ফোন নম্বর দেওয়া আছে। তিন ও নয় নম্বর ‘পলাতক রোগী’র নামের পাশে কোনো মোবাইল নম্বর নেই।

এক ও চার নম্বর ‘পলাতক রোগী’র নামের পাশের থাকা নম্বরে কল করা হলে তা রিসিভ করেন একজন ট্যাক্সিচালক। তিনি বলেন, ‘আমি বেনাপোল থেকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে যাত্রীদের নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলাম।’ তিনি এর বেশি আর কিছু জানাতে পারেননি।

তালিকার সর্বশেষ ‘পলাতক রোগী’র নামের পাশের থাকা নম্বরে কল দিলে তা রিসিভ করেন রোগীর বোন। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা, মা, ভাইসহ পরিবারের অনেকেই ভারতে থাকেন। আমার ভাই সোহেল বেড়াতে গিয়েছিল।’

তার দাবি, ভারত থেকে আসার আগেও তার ভাইয়ের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। বেনাপোল থেকে ভাইকে সরাসরি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষা করে কোনো সমস্যা না পাওয়ায় গাড়িতে করে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।

রোগীর বোন আরও বলেন, ‘আমার ভাইকে তো হাসপাতালে ভর্তিই করা হয়নি, পালাবে কেন?’

তালিকায় থাকা দ্বিতীয় ‘পলাতক রোগী’ জানান, তিনি ছাড়পত্র নিয়েই হাসপাতাল ছেড়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে তালিকায় এক নম্বরে থাকা রোগীর স্বামী বলেন, ‘তিন-চারদিন আগে আমার স্ত্রী ও বড় ভাবিকে (তালিকায় চার নম্বর) হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের আউটডোরে দেখা হয় না। ভর্তি করে দেন। আমি তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে চিকিৎসা করাচ্ছি। হাসপাতালে ভর্তি করিনি।’

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, ‘জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ড বয়ের মাধ্যমে তিনতলায় করোনা রোগীদের পাঠানো হয়। তারা যদি ভর্তি থাকতে না চান, হাসপাতাল পছন্দ না হয়, তাহলে পালিয়ে যান।’

রোগী বা রোগীর স্বজনরা ভর্তির বিষয়টি অস্বীকার করছেন জানালে তিনি বলেন, ‘এখন তারা নিজেদের রক্ষা করতে মিথ্যা বলছেন।’

আরিফ আহমেদ আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আসা রোগী পুলিশের তত্ত্বাবধানেই হাসপাতাল পর্যন্ত আসেন। ভর্তির পর পুলিশ চলে যায়। অনেকের বাড়ি যশোরের বাইরে। তারা হয়তো নিজ জেলায় স্বস্তি বোধ করবেন বলে চলে গেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago