লালমনিরহাটে ট্রাকে ধর্ষণের পর নারীকে হত্যা: গ্রেপ্তার ২
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে ধর্ষণের পরে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার প্রধান আসামিসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় শেরপুর ও নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ২ ডিসেম্বর সকালে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার মমিনপুর এলাকায় লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহায়তায় পুলিশ ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে। তদন্তে উঠে আসে, তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলায়। তিনি বিবাহিতা হলেও স্বামীর সঙ্গে তার যোগযোগ ছিল না। পরবর্তী তিনি মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তার বাড়ি শেরপুরের সদর উপজেলার ভাতশালা গ্রামে। পেশায় তিনি ট্রাকচালক। ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে তার সহকারীও জড়িত ছিলেন।’
আবিদা সুলতানা বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান গ্রেপ্তার আসামি। ওই নারী বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রেপ্তার আসামিরা তাকে কৌশলে লালমনিরহাটে নিয়ে আসেন এবং ট্রাকেই ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর রাস্তার পাশে মরদেহ ফেলে চলে যান। মরদেহে লোহার রড জাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ।
Comments