ভারত সীমান্তে আটকা ১৫ বাংলাদেশি বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন

ফাইল ফটো

ভারতের পেট্রাপোলে আটকা পড়া তিন শতাধিক যাত্রীর মধ্যে ১৫ বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তারা দেশে ফেরেন।

ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোলে একটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা তাদের নিজ খরচে সেখানে অবস্থান করবেন। 

কোলকাতাস্থ বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন অফিস থেকে এনওসি নিয়ে দেশে ফেরেন তারা।

এদিকে, বাংলাদেশে অবস্থানরত ৫৮ জন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত নিচ্ছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সরকার ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয়ার আগে অনেক যাত্রী দেশে ফেরার জন্য রওনা হয়েছিলেন।

ভারত সীমান্তে অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশিরা জানান, অন্তত একদিন আগে বর্ডার বন্ধের ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে বর্ডারে এসে আমাদের এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।

ওপারে আটকে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগী এবং শিক্ষার্থী। গত দুই দিন ধরে আটকে থাকায় অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানা গেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ১৪ দিন ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশনাপত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। সকাল থেকে যাত্রীদের পাসপোর্টের যে আনুষ্ঠানিকতা সেটি বন্ধ রাখা রয়েছে। হাইকমিশনার কর্তৃক বিশেষ অনুমতিপত্র নিয়ে আসা যাত্রীদের ছাড় দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে না। স্যানিটাইজিং করারও কোনো উদ্যোগ নেই বন্দর কর্তৃপক্ষের। বিশেষ করে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা বন্দরের অভ্যন্তর থেকে বেনাপোল বাজারে চলে আসছে অবাধে। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে আতংকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোনো বিধি নিষেধ না থাকায় এ পথে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস সচল রয়েছে। বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-

বেনাপোলে যাত্রী পারাপার বন্ধ, ওপারে আটকা ৩ শতাধিক বাংলাদেশি

Comments

The Daily Star  | English

UK agency freezes London properties owned by Salman F Rahman’s son

Sheikh Rehana, the sister of Sheikh Hasina and mother of former UK City minister Tulip Siddiq, has lived at the Gresham Gardens property

32m ago