গণপরিবহন চালু ও খাদ্য-অর্থ সহায়তা চায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন

স্টার ফাইল ছবি/ আমরান হোসেন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাদিকুর রহমান হিরু এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৫ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ লাখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের বেঁচে থাকার মতো অবলম্বন নেই।

গাড়ি চললে পরিবহন শ্রমিকদের সংসার চলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, উপার্জনের পথ বন্ধ থাকায় পরিবহন শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকার যন্ত্রণা পরিবহন শ্রমিকদের কাছে করোনা সংক্রমণের ভয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।

পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের সবসময় গণমানুষের সংস্পর্শে থাকতে হয় বলে তারা যেমন সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন, তেমনি যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন। সে বিবেচনায় গণপরিবহন বন্ধ রাখা যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু, পরিবহন শ্রমিকদের জীবিকার নিশ্চয়তার বিষয়টিও ভাবা দরকার। গার্মেন্টস, শপিংমল, কাঁচাবাজার ইত্যাদি খোলা রেখে শুধু গণপরিবহন বন্ধ রেখে লকডাউন কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে শ্রমিকদের কাছে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যাত্রীরা অটোরিকশা, কার, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে দূরদূরান্তে চলাচল করছে উল্লেখ করে তারা বলেন, এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে একদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে তাদেরকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও নানা হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। এতে তাদের যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে, তেমনি হয়রানি ও করোনার ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।

তাই কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকের কথা ভেবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু করা বাঞ্ছনীয় বলে জানানো হয় বিবৃতিতে।

গত বছর লকডাউন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন জানিয়ে নেতারা চলমান লকডাউনে কর্মহীন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের জন্য খাদ্য সহায়তা ও অর্থ অনুদান দেওয়ার আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English

1 killed in attack on ‘darbar sharif’ in Rajbari

Grave desecrated, corpse exhumed, burnt; govt terms incident ‘abhorrent’, ‘despicable’

2h ago