মিয়ানমারে সশস্ত্র কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘাত
মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু কারেন বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, আজ মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনীর ফাঁড়িতে হামলা হয়। মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনী দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে, তারা সালাউইন নদীর পশ্চিম তীরে একটি সেনা ক্যাম্প দখলে নিয়েছে।
কেএনইউ ও থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, সেনা ক্যাম্পে হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীও পাল্টা আক্রমণ করে। বিদ্রোহীদের দমনে বিমান হামলাও চালানো হয়।
থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীরা জানান, ভোর হওয়ার আগেই নদীর ওপারে তীব্র বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে পাহাড়ের উপরে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখা যায়।
কেএনইউ বাহিনীর পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান সাউ তাউ নী রয়টার্সকে বলেন, তারা সেনা ক্যাম্পটি দখল করেছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী পরে বিমান হামলা চালায়।
কারেন বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি থাই সীমান্তের কাছে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষ জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে, ৪৫০ জন থাই গ্রামবাসীকে সীমান্ত থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে এরই মধ্যে দেশটিতে ৭৫০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কারেন ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুরা সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে।
উত্তর ও পশ্চিমের জেলাগুলোতেও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। ইরাবতী নিউজ জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে চিন রাজ্যে সংঘর্ষে ১৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন।
কারেন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
Comments