রিয়ালের মাঠ থেকে মূল্যবান গোল নিয়ে ফিরল চেলসি
আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেওয়া চেলসি এগিয়ে গেল শুরুর দিকে। ধাক্কা সামলে গোল শোধ করতে খুব বেশি সময় নিল না রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত দুই পরাশক্তির লড়াই শেষ হলো সমতায়। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে গোল পাওয়ায় নিশ্চিতভাবেই কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রইল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার সমীকরণে এই গোলটি হয়ে উঠতে পারে মহাগুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র হয়েছে ১-১ গোলে। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ সফরকারীদের এগিয়ে দেওয়ার পর স্প্যানিশ লিগের শিরোপাধারী রিয়ালকে সমতায় ফেরান করিম বেনজেমা। আগামী বুধবার রাতে দ্বিতীয় লেগে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে মুখোমুখি হবে দুদল।
গোটা ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলমুখে মোট ১১টি শট নেয় চেলসি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল পাঁচটি। অন্যদিকে, রিয়ালের নয় শটের মাত্র একটি ছিল লক্ষ্যে। জিনেদিন জিদানের দল বল দখলে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। তবে টমাস টুখেলের শিষ্যরাই উপহার দেয় উজ্জীবিত পারফরম্যান্স।
বৃষ্টিস্নাত লড়াইয়ে দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে চেলসি। খুব কাছ থেকে টিমো ভার্নারের নেওয়া শট রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। চার মিনিট পর তিনি অবশ্য জাল অক্ষত রাখতে পারেননি। অ্যান্টনিও রুডিগারের রক্ষণচেরা পাসে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান পুলিসিচ। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এই তারকা কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে নেন শট। বল রাফায়েল ভারানের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করে।
গোল খেয়ে টনক নড়ে স্বাগতিকদের। ২৩তম মিনিটে গোল প্রায় শোধই করে ফেলেছিল তারা। বল বাইরের দিকের পোস্টে লাগলে হতাশ হতে হয় ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমাকে। ছয় মিনিট পরই অবশ্য রিয়ালকে উল্লাসে মাতান তিনি। ডি-বক্সে ফেলা মার্সেলোর ক্রসে জটলার মধ্যে বল পেয়ে যান বেনজেমা। প্রথমে হেড করে বল নামিয়ে এরপর দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
চলমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেনজেমার এটি ষষ্ঠ গোল। সবমিলিয়ে এই আসরে তার গোল বেড়ে হলো ৭১টি। সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় সাবেক ফুটবলার রাউল গঞ্জালেজের সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ অবস্থানে আছেন তিনি। শীর্ষ তিনটি স্থান যথাক্রমে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও রবার্ত লেভানদভস্কির দখলে।
বিরতির পরপরই আবার পিছিয়ে পড়তে পারত রিয়াল। মার্সেলোর ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার ভার্নার। কিন্তু আবারও জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচের শেষদিকে যেমন বৃষ্টির তোড় বাড়ে, তেমনি খেলার ছন্দ কমে যাওয়ায় সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুদল।
Comments