গুলশানে তরুণীর ‘মৃত্যু’র সু্ষ্ঠু তদন্তের দাবি এমজেএফের

ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় উদ্বেগ

গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত আসামি যেন আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে সেটি নিশ্চিতে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।

সেইসঙ্গে অভিযুক্ত আসামির আগাম জামিন চাওয়ার সংবাদে উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়েছে এমজেএফ।

আজ বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশনের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, তনু, নুসরাত, কলাবাগানের ও লেভেলের শিক্ষার্থীসহ নিহত হওয়া নারী ও শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। এমজেএফ মনে করে ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে নারী নির্যাতনের সাথে জড়িতদের অনেককেই বিচারের আওতায় আনা যাচ্ছে না বা তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।

এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এসব ঘটনা না থেমে বরং বেড়েই চলেছে। তাই আমরা নারীর প্রতি সবধরনের সহিংসতার মামলায় দ্রুত বিচারের নিশ্চয়তা চাইছি।’

বিবৃতিতে বলা হয়, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৪৬ জন নারী শুধুমাত্র স্বামীর হাতেই নিহত হয়েছেন। নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০৭টি। এর মধ্যে মামলা হয়েছে মাত্র ৩৯টির। এছাড়া আরও ২৩৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে নিহত হয়েছেন ১০জন। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল ৪৭ জনকে এবং এই কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন।

অব্যাহত প্রতিবাদ, মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকার পরেও কেন ধর্ষণের হার বাড়ছে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে এমজেএফ পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে এজন্য দায়ী বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, নানাধরনের আর্থ-রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব এবং কিছু ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদিচ্ছার অভাব আছে।

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে বলা হয়, দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত ২৫টি ধর্ষণ মামলার মধ্যে, গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টা হতে ১৫ দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ২৫ আসামি জামিন পেয়েছে। বর্তমানে ২০ জন অভিযুক্ত ধর্ষক জামিনে মুক্ত, ৩ অভিযুক্ত ধর্ষক কারাগারে এবং ২ জন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়নি। উপরন্তু অধিকাংশ আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে মামলাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলেও গবেষণায় উঠে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

'Why should an innocent person be punished?' says Jahangir on Hamid's arrival

The home adviser says Hamid will face legal consequences only if an investigation finds him guilty

1h ago