চাঁপাইনবাবগঞ্জ

গ্রেপ্তারের ৩ ঘণ্টা পর আসামির মৃত্যু, ‘নির্যাতনের’ দাবি পরিবারের

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী গ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারের পর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
Chapainawabganj.jpg
মর্গের সামনে নিহত সানাউল হক বিশ্বাসের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: স্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী গ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তারের পর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।

নিহত ভোলাহাট উপজেলার চাঁনশিকারী গ্রামের সানাউল হক বিশ্বাসের (৪৪) পরিবারের দাবি, তিনি পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন। পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।

নিহতের ছোট ভাই মাসুদ রানা বিশ্বাস আজ শুক্রবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৯টার দিকে সানাউল বাড়ির পাশের একটি দোকানে ডিম কিনতে যাচ্ছিলেন। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নির্যাতন করা হয়।’

তার অভিযোগ, নির্যাতনের কারণেই সানাউলের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম আব্দুর রকিব বলেন, ‘সানাউলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গত ১৪ এপ্রিল ১৬০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে এবং ওই দিনই তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হয়। এরপর থেকে সানাউল পলাতক ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘সানাউল বাড়ি ফিরেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সানাউল পালানোর চেষ্টা করেন। দৌঁড়ানোর সময় পড়ে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।’

এসপি এ এইচ এম আব্দুর রকিব আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর সানাউল বুকে ব্যথা অনুভব করছে বলে পুলিশকে জানায়। পুলিশ দ্রুত তাকে প্রথমে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সানাউল মারা যান।’

নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে এসপি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পরই সে বুকে ব্যথা অনুভব করছে বলে জানায়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে সানাউল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।’

সানাউলের ভাই মাসুদ রানা বলেন, ‘ভাই মাদক সেবন করতেন। কিন্তু, তিনি কখনো মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।’

সানাউলের স্ত্রী ও চার মেয়ে আছে বলেও জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।’ 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক মিন্টু রহমান বলেন, ‘সানাউলের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে, দুই হাঁটুতে সামান্য আঘাতের চিহ্ন আছে।’

মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি হাঁটুতে আঘাত পেয়ে থাকতে পারেন বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Hasina’s flight was kept off radar

When the air force transporter plane carrying Sheikh Hasina left Dhaka on August 5, it took off as a training flight and turned off its transponders to blur its flightpath and location..The transponders, which transmit location, heading

4h ago