রাবি উপাচার্যের এডহক নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধের দাবি শিক্ষকদের

মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষ নিয়ে এডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান।

মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষ নিয়ে এডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিষেধাজ্ঞার পরও অবৈধভাবে উপাচার্য এই চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একটি অংশ।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে আমবাগানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা শিক্ষকরা আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ হিসেবে পরিচিত।

শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ-স্বার্থ রক্ষায় বর্তমান প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে উপাচার্য, দুজন উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টরের অপসারণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, মেয়াদের শেষে এসে বর্তমান প্রশাসন অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। চাকরি প্রত্যাশী এবং স্বার্থান্বেষী মহলের চাপের মুখে ও দুর্নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃত্বহীন হয়ে পড়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সব ধরনের নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বর্তমান প্রশাসন নিয়োগ-বাণিজ্যের জন্য এডহক ভিত্তিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদানে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মেয়াদের শেষ সময়ের সকল অবৈধ কাজ ও দুর্নীতিকে দাপ্তরিকভাৱে বৈধ করতে আজ ফাইন্যান্স কমিটি এবং ৪ মে সিন্ডিকেট সভা ডেকেছেন। আমরা জেনেছি যে, উপাচার্য এ সভার মাধ্যমে এডহক নিয়োগ দিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমরা এসব বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:

রাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসি

রাবিতে দুর্নীতি-অনিয়ম: ইউজিসি প্রতিবেদন দিলেও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে সরকার

ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন একপেশে ও পক্ষপাতমূলক: রাবি উপাচার্য

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago