বাটলারের সেঞ্চুরি ও মোস্তাফিজের ধারালো বোলিংয়ে জিতল রাজস্থান
টি-টোয়েন্টি সংস্করণের উপযোগী খেলোয়াড়ের তালিকা করলে উপরের দিকেই থাকবে জস বাটলারের নাম। কিন্তু এ সংস্করণে তিন অঙ্কের ছোঁয়া পাওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছিল এ ইংলিশ তারকার। তবে অবশেষে সে আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন তিনি। ২৮২তম ম্যাচে এসে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। পরে অসাধারণ বোলিংয়ে করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফলে সানরাইজার্স হায়দারাবাদকে সহজেই হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরেছে রাজস্থান রয়্যালস।
দিল্লিতে রোববার দিনের প্রথম ম্যাচে হায়দারাবাদকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রাজস্থান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২০ রান করে দলটি। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি টম মুডির শিষ্যরা।
অথচ ভাগ্য ফেরাতে আগের দিনই অধিনায়ক বদল করেছিল হায়দারাবাদ। অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড ওয়ার্নারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে নেতৃত্বের আর্ম ব্যান্ড দেওয়া হয় কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের হাতে। তবে অধিনায়কের বদল হলেও ভাগ্যের বদল হয়নি। হারের বৃত্তেই থাকল দলটি। সাত ম্যাচে এটা তাদের ষষ্ঠ হার। একমাত্র জয়টি তারা পেয়েছিল পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে এটা রাজস্থানের তৃতীয় জয়।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে জয়ের মূলনায়ক বাটলার হলেও নিঃসন্দেহে পার্শ্বনায়ক বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজ। অসাধারণ বোলিং করেন তিনি। লক্ষ্য তাড়ায় সূচনাটা যখন দারুণভাবে করে হায়দারাবাদ তখন সে জুটি ভেঙে প্রথম ধাক্কাটা দেন এ পেসারই। এরপর নেমে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং শুরু করা মোহাম্মদ নাবিকেও থামিয়েছেন তিনি। ফেরান আরেক আফগানী রশিদ খানকেও।
দলীয় ৫৭ রানে মানিশ পান্ডকে মোস্তাফিজ বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে হায়দারাবাদ। এরপর বলার মতো আর কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। তোপ দাগান ক্রিস মরিসও। ফলে ১৬৫ রানেই আটকে যায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন মানিস। ২০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২১ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩০ রান করেন জনি বেয়ারস্টো। ২০ রান আসে অধিনায়ক উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে।
৪ ওভার বল করে ২০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার মোস্তাফিজ। ২৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান মরিসও।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানের শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৭ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক সাঞ্জু সামসনের সঙ্গে বাটলারের জুটিই সব বদলে দেয়। স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এরপর সামসন আউট হলে এক প্রান্ত ধরে রানের গতি বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যান বাটলার।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। ৬৪ বলের ইনিংসটি সাজাতে ১১টি চারের সঙ্গে ৮টি চার মেরেছেন এ ইংলিশ ব্যাটসম্যান। সামসনের ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন অধিনায়ক।
Comments