বোরো ধান বিক্রিতে কৃষক নিবন্ধনে মাইকিং
ন্যায্য দামে বোরো ধান বিক্রি করতে কৃষক নিবন্ধনে মাইকিং করা হচ্ছে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে। এরই মধ্যে হাওরের ৯৫ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল এলাকা পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় কুলাউড়া উপজেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে।
হাকালুকি হাওড়ের কৃষক নাজিম মিয়া বলেন, বোরো ধান প্রায় সব কাটা শেষ। এখন বিক্রি নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে সরকারের পক্ষে মাইকিং শুনলাম। নিবন্ধন করাতে মাইকিং চলছে। এই প্রথম সরকারের উদ্যোগ শুনলাম। ভালো লাগছে। খুব তাড়াতাড়ি নিজের নাম নিবন্ধন করাবো।
কুলাউড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিনয় কুমার দেব বলেন, ‘আমাদের উপজেলা থেকে ৮৬৫ মেট্রিক টন চাল কিনবে সরকার। প্রতি মণের দাম ১০৮০ টাকা। প্রতি ক্ষুদ্র কৃষক এক টন, মাঝারি কৃষক দুই টন ও বড় কৃষক তিন টন বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু কৃষকদের আগ্রহ কম। তাই সচেতন করতে আমাদের এই আয়োজন। নিবন্ধন চলবে আগামী ১০ মে পর্যন্ত।’
কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল মোমিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, “কৃষকের অ্যাপ” নামে একটি অ্যাপ আছে সেখানে খুব সহজে একজন কৃষক নিবন্ধন করতে পারেন। না করতে পারলেও সমস্যা নেই আমাদের জানালেই আমরা করে দেবো।
এবার যেহেতু আমাদের উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেজন্য সবাইকে জানান দিতে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চলতি মৌসুমে সিলেট বিভাগের চার জেলার আওতাধীন ৪২৪ হাওর অঞ্চলসহ বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭০৫ হেক্টর। ১ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন টন ধানের লক্ষ্যমাত্রা আছে।
তিনি জানান, হাওরে আজকে পর্যন্ত ৯৫ দশমিক ২৫ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকায় ৫৩ দশমিক ১৮ শতাংশ ফসল সংগ্রহ করা হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে বাকি ফসল সংগ্রহ করা হবে। ১৩টি উপজেলায় এবার অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন হবে। যেন সবাই নিজের নিবন্ধনটি করাতে পারে সেজন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
Comments