মিয়ানমারে গ্রেপ্তার জাপানি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া খবর’ ছড়ানোর অভিযোগ
মিয়ানমারে গ্রেপ্তার জাপানি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া খবর’ ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাপানি দূতাবাস।
বিবিসি জানায়, ইউকি কিতাজমিই প্রথম বিদেশি সাংবাদিক, যিনি সেনা অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার হন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে একবার আটক করা হয়েছিল। এরপর ১৮ এপ্রিল মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে তার বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালিয়ে ৪৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
দোষী প্রমাণিত হলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জাপানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
কিতাজমি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি জাপানের অনেক বড় বড় সংবাদমাধ্যমের জন্যও প্রতিবেদন লিখেছেন।
মিয়ানমারের জাপানি দূতাবাস জানিয়েছে, তার স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা নেই। তবে তার মুক্তির জন্য সামরিক বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জাপানি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান এবং এরপরের বিক্ষোভ ও হত্যা নিয়ে প্রতিবেদন লেখার পাশাপাশি কিতাজুমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেখানকার পরিস্থিতি ও নাগরিকদের ওপর নির্যাতন সম্পর্কে প্রায়ই লিখতেন।
বিবিসি জানায়, ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে বহু স্থানীয় সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার মানুষকে বন্দি করা হয়েছে। দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
দেশটিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও কমেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন স্থানীয় সাংবাদিককে তাদের প্রতিবেদনের জন্য আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটিতে কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানায়, সাংবাদিকদের মধ্যে ৫০ জন এখনও আটক অবস্থায় আছেন। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Comments