ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদত্যাগ করা হেফাজতের সেই নেতা গ্রেপ্তার

আব্দুর রহিম কাসেমী। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে যাওয়া সহিংসতায় জড়িত হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করা সংগঠনটির জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ভাদুঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আব্দুর রহিম কাসেমী শহরের কান্দিপাড়ার আল জামিয়া আল ইসলামিয়া আল ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ছিলেন।

গত ১ ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসার ছাত্রদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নামানোর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাকে অব্যাহতি দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহাম্মেদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের সঙ্গে আব্দুর রহিম কাসেমীর সংশ্লিষ্টতা পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এ ছাড়া, ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে চালানো সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের সঙ্গেও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল।

 

গত ২৩ এপ্রিল তিনি সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রতিবাদ এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ ত্যাগ করেন।

ওই দিন সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম কাসেমী বলেছিলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারে না।’

যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবে জড়িতদের বিচার চেয়ে হেফাজত নেতার পদত্যাগ

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago