আইপিএল আয়োজন করা ভুল ছিল না: সৌরভ

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়িয়ে। পরিসংখ্যানটা ভারতের। কিন্তু এ অবস্থার মাঝেও সেখানে চলছিল আইপিএল। যদিও কদিন আগে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির একের পর সদস্যরা কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় আসরটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। কিন্তু এতো কিছু পরও এ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করায় কোনো কোনো ভুল কিছু দেখছেন না বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
ছবি: সংগৃহীত

গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাভাইরাসে। মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়িয়ে। পরিসংখ্যানটা ভারতের। কিন্তু এ অবস্থার মাঝেও সেখানে চলছিল আইপিএল। যদিও কদিন আগে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির একের পর সদস্যরা কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় আসরটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে  বিসিসিআই। কিন্তু এতো কিছু পরও এ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করায় কোনো কোনো ভুল কিছু দেখছেন না বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।

মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ভারতেই। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যায় প্রতিদিনই গড়ছে নতুন নতুন রেকর্ড। ৯ এপ্রিল আইপিএল শুরুর সময় যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ, সেখানে পৌঁছায় ২১ কোটিতে। তাই এ অবস্থার মধ্যে আইপিএল চালিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়ে বিসিসিআই। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়েছে।

অবশ্য এ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকার শুরুতেই আইপিএল ছেড়ে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জ্যাম্পা, কেন রিচার্ডসন, ইংল্যান্ডের লিয়াম লিভিংস্টোনরা। পরিবারের সদস্য কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও বলয় ছেড়েছেন। একই কারণে গেছেন আম্পায়ার নিতিন মেননও। কিন্তু বাকী খেলোয়াড়দের নিয়ে ঠিকই চলছিল এ আসর।

কিন্তু কোনো কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছিলেন না তারা। জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের দোহাই দিয়ে চলছিল সব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে বলয় ভেঙে ঢুকে পড়ে করোনাভাইরাস। তাতেই থেমে যায় এ আসর। তবে এ নিয়ে কোনো দুঃখবোধ নেই বিসিসিআই সভাপতির। আইপিএল আয়োজন কোনো ভুল হয়নি জানিয়ে ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার দেন সৌরভ, 'যখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তখন এতো বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়নি। আমরা ইংল্যান্ড সিরিজ সাফল্যের সঙ্গেই করেছি।'

মহামারি বেড়ে যাওয়ার পরও কেন তারা থামেননি তার পক্ষে যুক্তি দিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের উদাহরণ টেনে আনেন বিসিসিআই সভাপতি, 'ইংল্যান্ডে যখন এটা (মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ) হয় তখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চলছিল। ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনালের খেলোয়াড়রা সংক্রামিত হয়েছেন। ম্যাচগুলো পুনরায় নির্ধারিত হয়। কারণ তাদের মৌসুমটি ছয় মাস লম্বা, তারা এটা করতে পারে। তবে আমাদের মৌসুমটি ছোট। যেহেতু আমাদের খেলোয়াড়দের তাদের নিজ নিজ দেশে ছেড়ে দিতে হবে, তাই পুনঃনির্ধারণ খুব কঠিন ছিল।'

এছাড়া গত আসরের মতো এবারও আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার বিকল্প ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেশের মাটিতেই কেন আয়োজন করেন তার পক্ষেই যুক্তি দেন ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক, 'এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তবে ভারতে ফেব্রুয়ারিতে (করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব) কিছুই ছিল না। গত তিন সপ্তাহের এটা অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়েছে, এর আগে এমন ছিল না। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম কিন্তু তারপরে ভারতে এটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago