নোয়াখালীতে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় যুবক খুন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করেছে মাদকাসক্তরা। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান (২২) সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করেছে মাদকাসক্তরা। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাহফুজুর রহমান (২২) সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, নিহতের বাবা চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিন-চার জনের বিরুদ্ধে আজ সকালে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

স্থানীয় আমিশাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবীরা মাহফুজুর রহমানকে খুন করেছে।’

নিহত মাহফুজুরের মামা মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘সাতঘরিয়া গ্রামের ইসতিয়াক হোসেন (২১) ও পাশের নাওড়ী গ্রামের আরমান হোসেনসহ ৬-৭ জন যুবক প্রতিদিন সন্ধ্যার পর গ্রামে মাদক সেবনের আসর বসায়। কয়েকদিন আগে মাহফুজুর তাদের মাদক সেবনে বাধা দেয় এবং সতর্ক করে।’

মাকসুদুর রহমান জানান, মাদক সেবনের বিষয়টি মাহফুজ এলাকার মুরুব্বিদেরকে জানালে, মাদকসেবীদের ওপর এলাকাবাসী চাপ দেন। এতে মাদকসেবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার রাতে মাহফুজুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ইসতিয়াক ও আরমানের নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন যুবক তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মাহাফুজের চিৎকারে কয়েকজন স্থানীয় এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহতাবস্থায় মাহফুজুরকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Extreme weather events threatening food security

Since May last year, Bangladesh faced more than a dozen extreme weather events -- four cyclones, nine incidents of floods, and multiple spells of heavy rains, heatwaves, and cold waves -- and now they threaten food security..These events not only harmed individual farmers and food security

10m ago