সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে আইনি নোটিশ
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট তৈরি বন্ধ করতে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আজ বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শামিম আখতার ও চিফ আর্কিটেক্ট অব বাংলাদেশ এর মীর মনজুর রহমানকে ইমেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশে মনজিল মোরসেদ জানান, যদি এই তিন কর্মকর্তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট তৈরির কাজ বন্ধ না করেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।
তিনি আরও জানান, ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেওয়া রায় উপেক্ষা করে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবেশের ক্ষতি করে সেখানে দোকান-রেস্টুরেন্ট তৈরি করে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে বহু গাছ কাটা হয়েছে।
এর আগে এক রিট পিটিশনের পর ২০০৯ সালের ৭ জুলাই হাইকোর্ট সরকারকে নির্দেশ দেন মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত ও সংরক্ষণ করতে। এছাড়া ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক মানের একটি স্মৃতি জাদুঘর তৈরি করতেও বলা হয় যেন দেশ-বিদেশের মানুষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে।
একইসঙ্গে, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেন সেই ঐতিহাসিক স্থানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এছাড়া, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে ভাষণ দেন এবং ১৯৭২ সালের ১৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানান।
Comments