এ কেমন উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুর্নীতির নানা অভিযোগে তার নাম পত্রিকার পাতায় ঠাঁই পেয়েছে বারবার। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি) তদন্ত শেষে এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেও উল্টো তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
শেষ কার্যদিবসে রাবি’র সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময়। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। উপাচার্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুর্নীতির নানা অভিযোগে তার নাম পত্রিকার পাতায় ঠাঁই পেয়েছে বারবার। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি) তদন্ত শেষে এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলেও উল্টো তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

একই ধরনের দৃশ্যপট দেখা যায় দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা? তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও কেন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? অন্যায় করে শাস্তির বদলে পুরস্কার পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কী বার্তা পাচ্ছে দেশের মানুষ?

দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটনের সঙ্গে। 

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান এবং সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন। ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অধ্যাপক আব্দুস সোবহান শুরু থেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। গণমাধ্যমের খবরে কোনো গুরুত্ব দেয়নি সরকার। সমস্যাটা হচ্ছে— সব কিছুই রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। আব্দুস সোবহান আওয়ামীপন্থি, কাজেই তার কোনো দোষ-ত্রুটি সরকার দেখেনি। শেষ মুহূর্তে বেআইনিভাবে, অনৈতিকভাবে তিনি যে কাজ করলেন (১৪১ জনের নিয়োগ) সেটা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি করল। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হচ্ছে— প্রথম থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ থাকার পরও তাকে মেয়াদ শেষ করতে দেওয়া হলো কেন? এখন তো তার মেয়াদ শেষ। সুবিধা যা ভোগ করার, তা তিনি করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও একই অবস্থা। ইউজিসি থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু, কিছুই করছে না সরকার। কোনো উপাচার্য দুর্নীতি বা অন্য যেকোনো অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও এই সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।’

রাবি উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটির বাকি সদস্যরা হচ্ছেন— ইউজিসি সদস্য ড. মো. আবু তাহের, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসি পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

এই তদন্ত কমিটির বিষয়ে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেখে আমার একটু হাসি পেয়েছে। রবার্টস রুলস অনুযায়ী আমরা জানি, তদন্ত কমিটি বা যেকোনো কমিটি করতে হয় বেজোড় সংখ্যক সদস্য নিয়ে। যাতে করে মত ভিন্নতায় ভোটের প্রয়োজন হলে তা একটি সিদ্ধান্তে উপনীত করতে পারে। জোড় সংখ্যায় কখনো তদন্ত কমিটি হয় না, এটাও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভুলে গেছে।’

‘মোট কথা হচ্ছে— বিশ্ববিদ্যালয় যে কী প্রতিষ্ঠান বর্তমান সরকার সেটাও জানে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান কী করে দেখভাল করতে হবে সেটাও জানে না’, যোগ করেন তিনি।

অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘দায়টা তো নিয়োগকর্তাদের। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ পদের জন্য এই ধরনের মানুষগুলোকেই নিয়োগকর্তাদের পছন্দ। এক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়ে সরকারের দায়টা অনেক বেশি বলে আমি মনে করি। কারণ তারা যোগ্যতা বিবেচনায় না নিয়ে শুধুমাত্র অন্ধ দলীয় আনুগত্যের ওপর ভিত্তি করে ব্যক্তিত্বহীন মানুষগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দেয়। প্রশাসনিক যোগ্যতা বা নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না। ফলে, স্বভাবতই আমরা এমন ঘটনা দেখতে পাই।’

প্রশাসনিক পদে নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমলাতন্ত্রের এক্ষেত্রে দায়ভার আছে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগ একেবারেই রাজনৈতিক। প্রশাসনিক যোগ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে এই ধরনের পদে থাকতে যেমন শিক্ষানুরাগী হওয়া উচিত, তার কোনোটাই বিবেচনায় নেওয়া হয় না। কাজেই ব্যক্তি এখানে সমস্যা না। সমস্যা যে উপায়ে নিয়োগ দেওয়া হয় সেটা। শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে আমাদের সামনেই। এই ধরনের মানুষকে এমন পদে বসানোটা একেবারেই ইচ্ছাকৃত। সম্প্রতি দেখলাম পিআরএল ভোগরত একজন অতিরিক্ত সচিবকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পরে হয়তো দেখা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, সামরিক কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। আর সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে কেবলমাত্র দলীয় আনুগত্য।’

নিয়োগ পদ্ধতিতে পরিবর্তন এই সমস্যার সমাধান কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুরো সরকার ব্যবস্থাতেই যদি জবাবদিহিতা না থাকে, তাহলে শুধু নিয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব না। তখন দেখা যাবে অন্য কোনো উপায়ে এই একই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। এটা সরকার ব্যবস্থার স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’ 

অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির এক-দেড় বছর পার হয়ে যাওয়ার পর এখন তাদের মনে হচ্ছে অনলাইন পরীক্ষা নিতে হবে। এমন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন ইউজিসির দিকে তাকিয়ে থাকবে? এমন ক্রান্তিকালেই তো নেতৃত্ব প্রমাণিত হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করলে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্যর্থ। শিক্ষার্থীরা যে কতটা হতাশাগ্রস্ত, তা অনলাইন ক্লাস নিলে বোঝা যায়।’

উপাচার্যদের এমন কার্যক্রমের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান বলেন, ‘এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় তো লাভবান হয়ই না, সমাজে শিক্ষকদের গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। সমাজের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কাছেও আমাদের গ্রহণযোগ্যতা হারায়।’

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শেষ সময়ে নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এমন আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আমরা দেখি। মেয়াদের শেষ সময়ে এসে নিয়োগের হিড়িক পড়ে যায়। এর মধ্যে একটি কারণ— রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে কিছু অশুভ জিনিস তাদের চরিতার্থ করতে হয়। আনুগত্যের প্রমাণ হিসেবেই এ কাজ করতে হয়।’

রাবির সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ৭৩-এর অধ্যাদেশ উপাচার্যকে একেবারে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে। গত ১৫ থেকে ২০ বছরে এই বাদশাহী ক্ষমতার কুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। আইনের কিছু সুফল থাকলেও উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ এই আইনকে বেশ মুশকিলে ফেলে দিয়েছে। যদিও আইন সবক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয় না। যদি সেটা হতো, তাহলেও এই ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে চলে যেত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা কাঠামোর গুরুতর গলদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভোট। এর সঙ্গে জড়িত হয়ে যাচ্ছে শিক্ষক নিয়োগ। আমার পক্ষের কাউকে নিয়োগ দিতে পারলেই আজীবন আমি তার ভোট পাব— এই চিন্তা চলে এসেছে।’

সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইউজিসি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ার পরও তাকে সরানো হলো না। বলা হলো— কোনো নিয়োগ যেন তার সময়ে আর না হয়। যে মানুষটাকে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভরসা করতে পারছেন না, তার ওপর বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে ভরসা করতে পারছেন? ইউজিসির এমন আজব অবস্থান খুবই ভয়ংকর।’

এমন অবস্থার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বনাশ হচ্ছে। সরকার মনে করছে, উপাচার্য পদটাই বুঝি বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ, তাদের কাছে এটা ইজারাদারির মতো একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজারাদারিতে যেমন হয়, কোনো এলাকা কেউ ইজারা পেলে সেখানে কী করবে সেটা তার বিষয়। সময় মতো খাজনা পেলেই হলো নবাবের। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা এমনই হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে শিখতে হচ্ছে উপাচার্যই সব। এই অবস্থা যদি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও থাকে, তাহলে সেটাও আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকে না।’

অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরও উপাচার্যদের পদ থেকে না সরানোর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘নিয়োগের সিদ্ধান্ত কারা নেন এবং কিসের ভিত্তিতে নেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। হয়তো এমন হতে পারে যে, ঘনঘন ইজারাদার বদল করলে নিয়োগদাতা নবাবের প্রতি প্রশ্ন উঠতে পারে। প্রজারা তখন অনেক বেশি বিক্ষুব্ধ বা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে। এজন্যই হয়তো ইজারাদারের ওপর আস্থা রেখে নবাব তার প্রজাদের বলতে চান, আমার ইজারাদারের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করো।’

শেষ দিনে ১৪১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে সৈয়দ সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘আমরা তো আসলে সরকারকে দেখতে পাই না। কোন বডি যে সরকার, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়। সোবহান সাহেবের ওপর ইউজিসির স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল যে তিনি নিয়োগে যাবেন না। সেই নির্দেশনা অমান্য করে যিনি নিয়োগ দিলেন, তিনি নিশ্চই এটা বুঝেই দিচ্ছেন যে কোনো না কোনো মহল থেকে তার ওপর আশীর্বাদ রয়েছে।’

এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ হিসেবে তিনি বলেন, ‘উপাচার্যের এই বিপুল ক্ষমতার জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ভোটের বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হবে, উপাচার্যসহ প্রশাসনিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’

আরও পড়ুন:

রাবি উপাচার্যের জামাতার বিরুদ্ধে ‘গোপন নথি’ চুরির অভিযোগ

‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকদের বাধার মুখে রাবি সিন্ডিকেট সভা স্থগিত

আজও রাবি প্রশাসন ও সিনেট ভবনে তালা ঝুলছে

উপাচার্য ভবনের পরে রাবি সিনেট ও প্রশাসন ভবনেও তালা

রাবি উপাচার্য ভবনে আবারও তালা!

রাবিতে দুর্নীতি-অনিয়ম: ইউজিসি প্রতিবেদন দিলেও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে সরকার

ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন একপেশে ও পক্ষপাতমূলক: রাবি উপাচার্য

এবার প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে রাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন রাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

ছাত্রলীগকে চাকরি দিতে ‘সর্বোচ্চ’ অগ্রাধিকারের আশ্বাস রাবি উপাচার্যের

রাবি উপাচার্যের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থে নির্মিত মাদ্রাসা

Comments

The Daily Star  | English
What constitutes hurting religious sentiments

Column by Mahfuz Anam: What constitutes hurting religious sentiments?

The issue of religious tolerance have become a matter of great concern as we see a global rise in narrow-mindedness, prejudice and hatred.

11h ago