পটুয়াখালী

মসজিদ নির্মাণ নিয়ে আনসারের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ১০

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প সংলগ্ন নাচনাপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভায় মসজিদ নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আনসার সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরসভার আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প সংলগ্ন নাচনাপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প সংলগ্ন মসজিদের বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মাণ করায় স্থানীয় মুসুল্লিদের নামাজ আদায়ে সমস্যা হয়। এতে স্থানীয়রা মাসখানেক আগে নাচনাপাড়া এলাকায় মসজিদ নির্মাণ শুরু করে। আজ মসজিদ নির্মাণের স্থানটি আনসারের দাবি করে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয় কয়েকজন আনসার সদস্য। এরপর মসজিদ নির্মাণের অন্যতম উদ্যোক্তা কালামকে (৪৫) বাসা থেকে ডেকে এনে লাঠিপেটা করে তারা।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের বিচার দাবি করে। এতে ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরাও জড়ো হয়ে স্থানীয়দের ওপর লাঠিচার্জসহ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন নারীসহ স্থানীয় অন্তত ১০ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে নুর আলম (৪০), তানিয়া (২৫), শাহিন (২৬), রোজিনা (২৫), আবুল কালাম (৫০), শামিম (১৫), জেসমিন (৩২), ফোরকান (৪৫) ও রাশিদাকে (৫০) চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

পটুয়াখালী জেলা আনসার ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার কামরুজ্জামান এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করে বলেন, 'অনাকাঙ্ক্ষিত এ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আনসার ক্যাম্প সূত্র জানায়, স্থানীয়দের হামলায় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তবে, তারা আহতদের নাম জানাননি বা আহতরা কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন তাও জানাতে পারেননি।

ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আনসার ব্যাটালিয়ন কমান্ডিং অফিসার স্থানীয়দের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টায় বৈঠক করেছেন।'

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেও জানান ওসি।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

58m ago