যাত্রী নিয়েই পাটুরিয়া ঘাট ছেড়েছে ৩ ফেরি

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পরেও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ভিড় করছেন দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার হাজারো যাত্রী।
Ferry.jpg
সরকারি নির্দেশে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার কথা থাকলেও, যাত্রী নিয়ে তিনটি ফেরিকে পাটুরিয়া ঘাট ছাড়তে দেখা গেছে। ছবি: স্টার

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পরেও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ভিড় করছেন দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার হাজারো যাত্রী।

আজ শনিবার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাওয়া নারী ও শিশুসহ সব যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে সকাল ১০টা পর্যন্ত টার্মিনালে অপেক্ষা করতে হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা ‘মাধবীলতা’ ফেরিতে উঠে পড়ে এবং ফেরি চালাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষকে চাপ দেয়।

দ্য ডেইলি স্টার’র সংবাদদাতা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও, কোনো যাত্রী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ তাদের ফেরি থেকে নামানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। পরে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়া থেকে চারটি অ্যাম্বুলেন্স এবং ফেরিভর্তি যাত্রী নিয়ে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়ার উদ্দেশে ফেরি ছাড়তে বাধ্য হয়।

পরে, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে ‘কেরামত আলী’ ও ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’ নামের আরও দুটি ফেরি দৌলতদিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়।

শিবালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানাসহ পুলিশ সদস্যরা তিন ঘণ্টা ধরে ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।

তানিয়া সুলতানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘাটে বিপুল পরিমাণ যাত্রী এসে পড়ায় বিষয়টি একটি মানবিক অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। তখন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় তাদের ফেরিতে পার করার সিদ্ধান্ত হয়।’

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঈদের আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু, সকাল থেকে হাজার হাজার যাত্রী পাটুরিয়া ঘাটে এসে পড়েন। মরদেহ বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং রোগী বহনকারী আরও তিনটি অ্যাম্বুলেন্সও আসে। তখন যাত্রীদের চাপের মুখে ফেরি ছাড়তে বাধ্য হই।’

ফেরিঘাটে যেতে যানবাহন থামাতে ঘাট থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কে তিনটি পয়েন্টে পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করেছে। ফেরিঘাটে যেতে অনেক যাত্রীকে দশ কিলোমিটারেরও বেশি পথ হাঁটতে দেখা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the job is done

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

4h ago