পাকিস্তানের বড় রানের পর ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে জিম্বাবুয়ে
আগের দিন ১১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন আবিদ আলি। সেই সেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিকে টেনে নিয়ে গেলেন তিনি। নয় নম্বরে নেমে ৯৭ রানের ইনিংস খেলেন নোমান আলি। পাকিস্তান চড়ল রানের পাহাড়ে। পরে শেষ বিকেলে ব্যাটিং পেয়ে পাকিস্তানি পেস আক্রমণে দিশেহারা অবস্থা জিম্বাবুয়ের।
হারারে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ৮ উইকেটে ৫১০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। জবাবে ৪ উইকেটে ৫২ রান তুলে দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে নেমে দলের রান তিনশো ছাড়ানোর পর ফেরেন সাজিদ খান। কিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান আবিদের সঙ্গে মিলে ৩৭ রানের আরেক জুটির পর বিদায় নেন। হাসান আলিও ফেরেন দ্রুত।
গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া পাকিস্তান এরপর বড় জুটি পায় ৮ম উইকেটে। ১৬৯ রানের জুটি গড়েন আবিদ-নোমান। আবিদ ছাড়িয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম সেঞ্চুরির কাছে ছিলেন নোমানও। ঝড়ো ব্যাট করে ১০৪ বলে ৯৭ রানে পৌঁছে শিকার হন টেন্ডাই চিসারোর। এরপরই ইনিংস ঘোষণা দিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
বিশাল রানের নিচে পড়ে দ্বিতীয় ওভারেই তেরেসাই মুসাকান্দাকে হারায় স্বাগতিকরা। তাকে আউট করে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেট পান ৩৬ পেরিয়ে অভিষেক হওয়া পেসার তাবিশ খান। খানিক পর কেভিন কাসুজা বোল্ড হয়ে যান হাসান আলির বলে।
অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর টেকেননি বেশিক্ষণ। তাকে ছেঁটে ফেলেন শাহীন আফ্রিদি। সাজিদ খান টেন্ডাই চিসারোকে আউট করলে ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
তৃতীয় দিনে ফলোঅন এড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে স্বাগতিকদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
(দ্বিতীয় দিন শেষে)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ১৪৭.১ ওভারে ৫১০/৮ (ইমরান ২, আবিদ ২১৫*, আজহার ১২৬, বাবর ২, ফাওয়াদ ৫, সাজিদ ২০, রিজওয়ান ২১, হাসান ০, নোমান ৯৭ ; মুজারাবানি ৩/৮২, এনগারাভা ১/৫৮, জঙ্গুয়ে ১/৬৮, টিরিপানো ১/৮৩, চিসোরো ২/১৩১, শুম্বা ০/৭৩)।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৩০ ওভারে ৫২/৪ ( কাসুজা ৪, মুসাকান্দা ০, চাকাবা ২৮*, টেইলর ৯, শুম্ভা ২, চিসারো ১* ; শাহীন ১/১৬, তাবিশ ১/২২, হাসান ১/৭, নোমান ০/০, সাজিদ ১/০)
Comments