'অবৈধ' নিয়োগে জড়িতদের শাস্তি দাবি রাবি প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৩৭ জনের নিয়োগকে বিধিবহির্ভূত ও অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা। পাশাপাশি নিয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
আজ শনিবার ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষকদের স্টিয়ারিং কমিটির’ ১৬ সদস্যের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিধি-বহির্ভূত ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এ ঘটনার দায় বিদায়ী উপাচার্য ও তার সহায়তাকারীদেরই নিতে হবে বলে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যরা মনে করে।’
তারা বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধী নই। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি মোতাবেক হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের চাহিদা ছাড়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা কোনো লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের পক্ষে আমরা নই। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বায়ত্তশাসনের নামে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থনৈতিকভাবে উপাচার্যের লাভবান হওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লজ্জিত করেছে।’
ইউজিসির তদন্তে রাবিতে অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসার পর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে উপাচার্য আবদুস সোবহানকে নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু, নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পদে ১৩৭ জনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে (এডহক) নিয়োগ দেন।
Comments