নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় পার হয়েছে ২৬,২২৩ যানবাহন
ঈদ যাত্রায় কড়াকড়ি আরোপের পরও থেমে নেই মানুষের ঘরে ফেরা। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার ভোর ৬টা থেকে রবিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত) ২৬,২২৩ টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও রবিবার সকাল থেকে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার দিকে যাত্রা করা দুই শতাধিক বাস বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে। অন্যদিকে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ যে যেভাবে পারছে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকার দিকে যাত্রা করা যানবাহন মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে দেওয়া হচ্ছে। তারপরও যারা বিভিন্ন পথ ব্যবহার করে সেতুর মুখে এসে পথ আটকে দিচ্ছে বাধ্য হয়ে তাদের সেতু পার করে দেওয়া হচ্ছে।
করোনা মহামারির কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও ঘরমুখো মানুষের চাপে থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, এসব যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসও আছে।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাজাহান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাসগুলোকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আটকে দেয়া হচ্ছে। তবে ভিন্ন পথে, মাইক্রোবাস, ট্রাক, অন্যান্য যানবাহনে মানুষ চলাচল করছে।
রবিবার সকাল থেকে আটকে পড়া যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে পারাপার করার পর দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই বলে জানান হাইওয়ে ওসি।
তবে ঈদের আগমুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মহাসড়কে মানুষের চলাচল বন্ধ করতে শুধু পুলিশি অভিযানই যথেষ্ট নয়, এজন্য প্রয়োজন মানুষের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, তা না হলে মহামারির এ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান আলী।
আরও পড়ুন-
Comments