মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেফাজতে রাতারাতি কবি খেত থি’র মৃত্যু

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হাতে আটকের পর রাতারাতি খেত থি নামে দেশটির এক কবির মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার তার অঙ্গপ্রতঙ্গবিহীন মরদেহ ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়েছে খেত থি’র পরিবার।
রযটার্স জানায়, সাহসী লেখনীর মাধ্যমে সামরিক বাহিনীর সমালোচনায় মুখর ছিলেন খেত থি। তার মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
খেত থি একবার লিখেছিলেন, ‘তারা (সেনাবাহিনী) মাথায় গুলি করে, কিন্তু তারা জানে না বিপ্লব থাকে হৃদয়ে।’ তার ফেসবুক পেজের তথ্য বলছে, তিনি ৪৫ বছর বয়সী ছিলেন।
খেত থি’র স্ত্রী জানান, গতকাল তাদের দুজনকেই সাগাইং অঞ্চলের কেন্দ্রীয় শহর শোয়েবো থেকে সশস্ত্র সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে ধরে নিয়ে যায়।
‘তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। খেত থিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। তারা বলেছিলেন যে, সে জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে আছে। কিন্তু, সে আর ফিরে আসেনি। এসেছে তার মরদেহ’, বিসিসি বার্মিজকে বলেন খেত থি’র স্ত্রী চাও সু।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে তারা (সেনাবাহিনী) মনুইয়ার হাসপাতালে খেত থিকে দেখতে যেতে বলেন। আমি ভেবেছিলাম- তার হয়তো হাত-পা ভেঙে গেছে বা অন্য কিছুর জন্য যেতে বলেছে। কিন্তু, হাসপাতালে গিয়ে দেখি সে মর্গে পড়ে আছে। তারা তার মরদেহ থেকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে নিয়েছে।’
রয়টার্স জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান বিক্ষোভে খেত থিসহ কমপক্ষে তিন জন কবি নিহত হয়েছেন।
গত মার্চের শুরুর দিকে খেত থি’র বন্ধু কবি ঝাঁ উইনকে (৩৯) মনুইয়ার রাস্তায় বিক্ষোভ চলাকালে গুলি করে হত্যা করে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
Comments