জিম্বাবুয়েকে আবারও ইনিংস ব্যবধানে হারাল পাকিস্তান
ফলাফল কি হতে যাচ্ছে তা বোঝা গিয়েছিল আগের দিনই। চতুর্থ দিনে কেবল তার আনুষ্ঠানিক পরিণতি মিলেছে। হারারেতে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হারের স্বাদ পেল জিম্বাবুয়ে।
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ইনিংস ও ১৪৭ রানে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫১০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। স্বাগতিকরা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৩২ ও ২৩১ রানে অলআউট হয়।
আবিদ আলীর ডাবল সেঞ্চুরি, আজহার আলীর সেঞ্চুরি ও বোলার থেকে ব্যাটসম্যান বনে যাওয়া নুমান আলীর নার্ভাস নাইন্টিজে স্বাগতিকদের আগেই রানের পাহাড়ের নিচে রেখেছিল পাকিস্তান। এরপর বাকী কাজটা সারেন বোলাররা। রীতিমতো ইতিহাস গড়েন তারা।
আগের দিনের ৯ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকরা এদিন আর টিকতে পেরেছে আর পাঁচ ওভার। স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে পারে আর ১১। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরমুখী হন লুক জংবি।
মূলত এদিন সবার দৃষ্টি ছিল শাহিনের দিকে। কারণ আগের দিন চার উইকেট তুলে নেওয়ায় আরও একটি ফাইফারের সামনে ছিলেন তিনি। তার ফাইফারে অনন্য একটি রেকর্ডও হবে। পাকিস্তানের হয়ে প্রথমবার একই টেস্টে তিন জন বোলার পাঁচ উইকেট নেওয়ার অনন্য কীর্তি গড়বেন। শেষ পর্যন্ত পেরেছেন এ পেসার। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম হলেও টেস্টে ইতিহাসে এমন কীর্তি রয়েছে আরও পাঁচটি।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসান আলী। দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা রাখলেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। এ ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের সমান ভাগে তুলে নেন নুমান আলী ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৫১০/৮ ডি.
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ১৩২
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ২৩১ (ফলোঅন) (কাসুজা ২২, মুসাকান্দা ৮, চাকাভা ৮০, টেলর ৪৯, শুম্বা ১৬, জংবি ৩৭, টিরিপানো ০, কাইয়া ০, চিসোরো ৮, এনগারাভা ০, মুজারাবানি ৪*; শাহীন ৫/৫২, তাবিস ০/৪৬, হাসান ০/৯, সাজিদ ০/৩২, নুমান ৫/৮৬)।
ফলাফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ১৪৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: আবিদ আলী।
ম্যাচ অব দ্য সিরিজ: আবিদ আলী।
Comments