ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক: ডব্লিউএইচও

ভারতে গত বছর পাওয়া করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টকে ‘বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
করোনাভাইরাস
ছবি: সংগৃহীত

ভারতে গত বছর পাওয়া করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টকে ‘বিশ্বের জন্য উদ্বেগজনক’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটি জানায়, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভারতে শনাক্ত হওয়া বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টটি অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, এর আগে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টকেও ‘উদ্বেগজনক’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

সাধারণত কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কোনো ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যেমন- দ্রুত সংক্রমণ, গুরুতর অসুস্থতা, অ্যান্টিবডি বা চিকিৎসা পদ্ধতি কিংবা টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

এই মানদণ্ডগুলোর অন্তত একটি পূরণ করলে সেই ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে চিহ্নিত করা হয়।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি ইতোমধ্যেই বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণের পিছনে বিশেষ কোনো কারণ আছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। দেশটির হাসপাতালগুলো রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশটির রাজধানী দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। শ্মশানগুলোতে দিন-রাত মরদেহ সৎকার কাজ চলছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে তিন লাখ ৬৬ হাজার ১৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, একই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন তিন হাজার ৭৫৪ জন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে প্রকৃত সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৪৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছেন। যা মোট জনসংখ্যার মাত্র দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ।

সোমবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, রাজধানীতে আর মাত্র তিন বা চার দিনের ভ্যাকসিন মজুত আছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বর্তমান ভ্যাকসিনগুলো ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর। তবে, ডব্লিউএইচও’র প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কিছু প্রমাণ থাকতে পারে।

ভারত সরকার জানায়, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে। তবে, এটি এখনও প্রতিষ্ঠিত না বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

সংক্রমণ ঠেকাতে গত একমাসে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য নিজেদের মতো করে লকডাউন, কারফিউ ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা ও ভাইরাসের বিস্তার বন্ধের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার চাপের মধ্যে থাকলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ঘোষণা আসেনি।

দেশটিতে মারাত্মক সংক্রমণের মধ্যেও ধর্মীয় উত্সব ও নির্বাচনী সমাবেশ করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Comments

The Daily Star  | English

Desire for mobile data trumps all else

As one strolls along Green Road or ventures into the depths of Karwan Bazar, he or she may come across a raucous circle formed by labourers, rickshaw-pullers, and street vendors.

15h ago