অসচ্ছল শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্য সচ্ছল শিল্পীদের সহায়তা

করোনা মহামারির কারণে প্রায় ১৪ মাস এফডিসিতে তেমনভাবে সিনেমার কোনো শুটিং নেই। যারা প্রতিদিন শুটিং করতেন সেসব অতিরিক্ত শিল্পী, ড্রেসম্যান, লাইটম্যান, মেকআপমান সহকারী, ছোট চরিত্রের অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলীরা রয়েছেন মহাসংকটে।
বিএফডিসির কড়াইতলায় বসে থাকেন করোনায় কাজ না থাকা বয়স্ক এই শিল্পীরা। ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির কারণে প্রায় ১৪ মাস এফডিসিতে তেমনভাবে সিনেমার কোনো শুটিং নেই। যারা প্রতিদিন শুটিং করতেন সেসব অতিরিক্ত শিল্পী, ড্রেসম্যান, লাইটম্যান, মেকআপমান সহকারী, ছোট চরিত্রের অভিনয় শিল্পী, কলাকুশলীরা রয়েছেন মহাসংকটে।

বিএফডিসির কড়াইতলায় বসে থাকা বয়স্ক এই শিল্পীদের অসহায় মুখ দেখলেই বোঝা যায় বর্তমান চিত্র। দীর্ঘদিন তাদের কোনো কাজ নেই। দিন এনে দিন খাওয়া এই শিল্পীদের আরও বিপর্যয়ে ফেলেছে করোনা মহামারি।

এমন শিল্পী, কলা-কুশলীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন অনেক অভিনয় শিল্পী, প্রযোজক। তাদের মধ্যে অন্যতম চলচ্চিত্র প্রযোজক সেলিম খান, প্রযোজক-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল, চিত্রনায়িকা শিল্পী ও মারজান জেনিফার।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান গতকাল সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা শিল্পী সমিতির সব শিল্পীদের ঈদের উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছি। এছাড়া ২৩৫ জন শিল্পী আছেন যারা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের ঈদ উপহারের সঙ্গে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।’

‘এসব শিল্পী কলা-কুশলীদের মুখে হাসি ফোটাতেই আমরা চেষ্টা করেছি। কতো টাকা দিয়েছি তা বলতে চাচ্ছি না,’ যোগ করেন তিনি।

পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পরিচালক সমিতির মাধ্যমে আমরা ঈদ উপহার ও নগদ অর্থ দিচ্ছি। যেসব পরিচালক, ড্রেসম্যানসহ অনেকেই খারাপ অবস্থায় আছেন তাদের গোপনে অর্থ দিয়েছি।’

শিল্পী শেফালি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি শিল্পী সমিতির মাধ্যমে টাকা ও ঈদ উপহার পেয়েছি। পরিচালক সমিতিও আমাদের অনেককে ঈদ উপহার দিয়েছে।’

Comments