২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে ৪১ হাজারের বেশি গাড়ি
শত দুর্ভোগ সত্ত্বেও আসন্ন ঈদুল ফিতর প্রিয়জনের সঙ্গে উদযাপন করতে ঘরে ফিরছে মানুষ। গত কয়েকদিনের মতো আজ মঙ্গলবারও উত্তরের গেট হিসেবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দিয়ে ঘরে ফিরেছেন লাখো মানুষ।
সকালের দিকে মহাসড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে ছুটি দেওয়া শুরু হলে বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।
রাত সাড়ে ৮টায় গোরাই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, চন্দ্রা থেকে গোরাই পর্যন্ত ঢাকাগামী লেনে কয়েক কিলোমিটার অংশে যানজট রয়েছে। তবে উত্তরের লেনে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই মানুষ ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।’
ঈদযাত্রায় মহাসড়কে অপরাধ ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বপালন করছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, দূরপাল্লার বাস না চললেও, ব্যক্তিগত গাড়ি, ভাড়াটে কার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল, ট্রাক ও পিকআপে গাদাগাদি করে ভ্রমণ করছেন মানুষ। করোনা সংক্রমণের ভয়ের পাশাপাশি দিনের বেলায় রোদে পুড়ে এবং সন্ধ্যায় বৃষ্টিতে ভিজলেও বাড়ি যাওয়ার আনন্দে ম্লান হয়ে গেছে তাদের পথের কষ্ট।
রাতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা) সেতু পারাপার হয়েছে ৪১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন। এরমধ্যে প্রায় আট হাজার মোটরসাইকেল, প্রায় ২০ হাজার কার ও মাইক্রোবাস এবং বাকিগুলো ট্রাক। অল্প কিছু বাসও রয়েছে (অনধিক ৫০)। এসব থেকে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ঈদুল আযহায় সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার গাড়ি পারাপারের নজির রয়েছে। সেসময় টোল আদায় হয়েছিল সর্বোচ্চ দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা।
Comments