জুন-জুলাইয়ে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালান আসতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Zahid_Malek_12May21.jpg
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুন-জুলাইয়ে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালান আসতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উপহার হিসেবে চীনের পাঠানো পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীন বাংলাদেশকে সিনোফার্মের পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিয়েছে। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছে গেছে। আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এটা গ্রহণ করবো। আমরা চীনের প্রেসিডেন্ট এবং সকল নাগরিককে ধন্যবাদ জানাই, এ রকম সময় আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।’

‘এই পাঁচ লাখ ভ্যাকসিন আমরা দুই ডোজ করে আড়াই লাখ লোককে দিতে পারবো। আমাদের দেশে যা প্রয়োজন তা দুই দিনেই লেগে যেতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি আরও ভ্যাকসিন আনার জন্য। যাতে যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োজন বাংলাদেশের সবাইকে যেন ভ্যাকসিন দিতে পারি। আমরা চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেছি পরবর্তীতে ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, চীন বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। আমি অনুরোধ করেছি, প্রতি মাসেই ভাগ করে আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয় যেন আমরা টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পারি। তারা আশ্বাস দিয়েছে, এ বিষয়ে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। জুন-জুলাইয়ে নতুন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার চেষ্টা করবে’—বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একইভাবে আমরাও চীনের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। যখন প্রথম উহানে করোনা ভাইরাস দেখা দিলো এবং সেখান থেকে ছড়িয়ে গেল চীনে ও পুরো বিশ্বে। যতদূর সম্ভব ছিল ওষুধপত্র উপহার হিসেবে আমরা চীনকে দিয়েছিলাম। সেই বন্ধুত্ব আবারও তারা দেখালেন, পাঁচ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তারা পাঠালেন। এই ভ্যাকসিন ডব্লিউএইচও’র অনুমোদন পেয়েছে। আমি জানি, চীনে এই ভ্যাকসিনের ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বিশ্বের অনেকগুলো দেশে ব্যবহার হচ্ছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা ও মানুষকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ভ্যাকসিন একটি পন্থা। পাশাপাশি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা একটি বড় বিষয়। আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি এবং মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। আমাদের দেশে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও আমরা দেখলাম ঈদের সময় মানুষ যেভাবে গেল বাড়িতে, তাতে আমরা খুবই মর্মাহত হলাম। সরকারের ইচ্ছা ছিল মানুষকে সুরক্ষিত রাখার। সে জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু মানুষ সেভাবে বিধিনিষেধ মানলো না। চলে গেল যে যেভাবে পারে। আমরা এটি আশা করবো তারা যেন নিজের জায়গায় গিয়ে বেশি ঘোরাফেরা না করে, ভাইরাসটা ছড়িয়ে না দেয়। শুধু ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমরা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

10h ago