বার্ষিক হালনাগাদের পর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট কমল বাংলাদেশের
বার্ষিক হালনাগাদের পর আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আগের নবম স্থানেই আছে বাংলাদেশ। তবে ৫ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে টাইগাররা। রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের রেটিং পয়েন্ট কমে হয়েছে ৪৬।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ভারত। ১ পয়েন্ট বেড়ে তাদের রেটিং দাঁড়িয়েছে ১২১। বিরাট কোহলিদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের দলের রেটিং পয়েন্ট ২ বেড়ে হয়েছে ১২০। ভারত ও নিউজিল্যান্ড আগামী মাসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অভিষেক আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
এবারের র্যাঙ্কিংয়ে দলগুলোর ২০১৭-১৮ মৌসুমের পারফরম্যান্স বাদ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের মে থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচগুলো শতভাগ হারে এবং ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ মৌসুমের ম্যাচগুলো ৫০ ভাগ হারে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
সবশেষ এক বছরে চার টেস্ট খেলে তিনটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ড্র করেছে বাকিটি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে মুমিনুল হকরা সম্প্রতি সিরিজ হারেন ১-০ ব্যবধানে।
১০৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠেছে ইংল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট বেড়েছে ৩। অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট কমেছে ৫। ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা নেমে গেছে চারে। পাকিস্তান রয়েছে আগের পঞ্চম অবস্থানেই। তাদের রেটিং পয়েন্ট ৩ বেড়ে হয়েছে ৯৪।
২০১৩ সালের পর র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের সেরা অবস্থানে পৌঁছেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠেছে ষষ্ঠ স্থানে। তাদের পয়েন্ট বেড়েছে ৩। ৮০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাতে নেমে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট ইতিহাসে এটাই তাদের সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং। অবশ্য আগেও তারা নেমেছিল সাতে। প্রোটিয়ারা হারিয়েছে ৯ রেটিং পয়েন্ট।
৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৭৮ রেটিং নিয়ে শ্রীলঙ্কা আছে অষ্টম স্থানে। ১০ দলের র্যাঙ্কিংয়ে জিম্বাবুয়ের অবস্থান তলানিতে। ৮ পয়েন্ট বাড়লেও তাদের রেটিং ৩৫। নতুন দুই টেস্ট সদস্য আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড র্যাঙ্কিংয়ে জায়গা পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ম্যাচ এখনও খেলতে পারেনি।
Comments