ঈদের ছুটির পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার সকাল থেকে বেনাপোলে পুনরায় শুরু হয়েছে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য।
ফাইল ফটো

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা তিন দিন বন্ধ থাকার পর আজ রবিবার সকাল থেকে বেনাপোলে পুনরায় শুরু হয়েছে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৯৫ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে ভারত থেকে।  বাংলাদেশ থেকে ৪২ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেড়েছে ব্যস্ততা। আমদানি পণ্যের গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বন্দর থেকে পণ্য দ্রুত খালাশ ও ভারতীয় ট্রাক থেকে দ্রুত পণ্য আনলোডের জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। আমদানি রপ্তানি শুরু হওয়ায় বন্দরে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। পণ্য লোড আনলোডসহ বন্দর থেকে পণ্য খালাশ শুরু হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনা প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করলেও দুই দেশের ব্যবসায়ীক স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন।

কাস্টমস সুত্র জানায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। দেশের শতকরা ৮০ ভাগ শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে আমদানি পণ্য থেকে সরকার ৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে থাকে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, ঈদ উপলক্ষে কাস্টমস ও বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিক আছে। পণ্য খালাসে যাতে দেরি না হয় সেজন্য কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে।

Comments