১৫ মে ১৯৭১: পাথরঘাটা ও কেতনার বিল গণহত্যা

মুক্তিযুদ্ধের ১৫ মে ছিল একইসঙ্গে কূটনৈতিক, গণহত্যা ও প্রতিরোধ যুদ্ধের ঘটনাবহুল একটি দিন। এ দিন হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তিনটি আলাদা অধিবেশনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য পেশ করেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আসাম ও ত্রিপুরার বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিন বরগুনার পাথরঘাটায় বিষখালী নদীর তীরে নির্মম গণহত্যা চালায় হানাদার বাহিনী।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অধিবেশনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আলোচনা হয়। এদিন কলকাতায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় সাহায্য ও পুনর্বাসন দপ্তর খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডগলাস হোম এদিন হাউজ অব কমন্সের অধিবেশনে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান। এদিন ওয়াশিংটন ডেইলি নিউজ মুক্তিযুদ্ধে নিক্সন প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়ে এক সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। বরিশালের গৌরনদীর কেতনার বিলে ১৫৪ জনকে হানাদারেরা ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। এদিন পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে পুরো দেশে তীব্র প্রতিরোধ ও প্রতি আক্রমণ গড়ে তুলেছিল মুক্তিবাহিনী।
বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে তিন অধিবেশনে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের বক্তব্য
১৫ মে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তিনটি অধিবেশনে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। তারা এসময় বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর এমন নিপীড়ন, ধর্ষণ আর গণহত্যা চলমান থাকলে এটি গোটা উপমহাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত আবদুস সালাম আজাদ এদিন ওআইসির সদস্যভুক্ত দেশ ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, "আপনারা বাংলাদেশের পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও পাকিস্তানি প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত এই হিংস্রতা আর মানবতার নিকৃষ্টতম ঘটনা সমূহকে কেবল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে এড়িয়ে যাবেন না। এটি এখন আর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের মধ্যে নেই। বরং আপনারা দেখছেন বাংলাদেশে যারা গণহত্যার শিকার হচ্ছেন, যেসব মা বোনেরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই মুসলমান। মুসলমান মুসলমান ভাই বলে মুসলমানদের উপরেই ইতিহাসের চরম নৃশংসতা চালানো হচ্ছে। বিশ্ব শান্তি পরিষদের অন্য দুই অধিবেশনে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আগত প্রতিনিধি দলের সদস্য মাহবুব আলী ও ডা. সারওয়ার আলী।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভারতে এদিন
১৫ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আসামের শিলচর ও ত্রিপুরার আগরতলায় শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে ত্রিপুরার আগরতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা এখন কেবল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, বরং ভারতের জন্য এটি একটি বড় ধরনের সমস্যা। বাংলাদেশের শরণার্থী সমস্যা কেবল কোন নির্দিষ্ট রাজ্যের বিষয় নয়, সুতরাং কেন্দ্রই শরণার্থীদের সমস্ত পূর্ণ দায়িত্ব নেবে।"
১৫ মে কলকাতায়
১৫ মে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির কলকাতা জেলার উদ্যোগে এক জনসভায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে ভারত সরকারের প্রতি দাবি জানান।
১৫ মে কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ন্যাপের প্রধান মওলানা ভাসানীর বর্তমান অবস্থান নিয়ে ১৪ মে সিপিআইএমের সদস্য হরেকৃষ্ণ কোঙারের আশংকার জবাব দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়। ১৪ মে হরে কৃষ্ণ কোঙার এক বক্তৃতায় অভিযোগ করে বলেছিলেন, ভাসানীকে কোথাও অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। ১৫ মে মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় বলেন, হরেকৃষ্ণ কোঙারের বক্তব্যের কোনো ঠিক নেই। ভাসানীকে অন্তরীণ করে আমাদের লাভ কী? ভাসানী কোথায় আছে আমরা জানি না। আর জানার কথাও না।
অন্যদিকে অজয় মুখোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পর হরেকৃষ্ণ কোঙার বলেন, তাহলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মইনুল হোক চৌধুরী কী করে মওলানা ভাসানীর সঙ্গে ভারতের কোথাও দেখা করেছেন? হঠাৎ তাকে না পাওয়া গেলে মানুষের এ ধারণা হওয়া স্বাভাবিক যে এখানে কোথাও তাকে রাখা হয়েছে। হরেকৃষ্ণ কোঙার পরে অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় আবার ভাসানীর প্রসঙ্গ তুললে অজয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "ভাসানী সাহেবের মতো বিশিষ্ট নেতা কোথায় আছেন, সরকার তা জানে না। তাহলে তিনি কি অন্তর্ধান হলেন? এ ঘটনা কি বাংলাদেশের লড়াইয়ে সহায়ক হবে?"
১৫ মে মুজিবনগরের প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় সাহায্য ও পুনর্বাসন দপ্তর থেকে জানানো হয় কলকাতায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির জনসংযোগ অফিস চালু করা হয়েছে। যারা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে চান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ফান্ডে অর্থ সহায়তা করতে চান তারা যেন কলকাতার ত্রাণ ও পুনর্বাসন জনসংযোগ অফিসে যোগাযোগ করেন।
১৫ মে কলকাতায় ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ফুটবলার আলী ইমাম বলেন, "বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা প্রথম ডিভিশনের ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি ফুটবল দল গঠন করা হবে। সেই দলটির বিপক্ষে পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কোন ফুটবল দল খেলবে। সেই খেলার জন্য টিকিট বিক্রি হবে। টিকেট বিক্রয়লব্ধ অর্থ মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।
ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সের অধিবেশনে পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে আলোচনা
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা সমাধান না হওয়ার পর্যন্ত পাকিস্তানকে সমস্ত রকম সাহায্য বন্ধ করার জন্য ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হাউজ অব কমন্সের বিরোধীদলীয় সদস্যরা। তারা বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে যেভাবে নির্বিচারে গণহত্যা চলছে তা কোনো সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এদিন ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি ব্রুস ডগলাসম্যান পাকিস্তানে সমস্ত ব্রিটিশ সাহায্য বন্ধের প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে পূর্ব পাকিস্তান বিষয়ে কথা বলেন। এরপর প্রায় ৫ ঘণ্টার বেশি পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে আলোচনা হয়। কেবল বিরোধীদলীয় লেবার পার্টিই নয়, সরকারি দলের অনেক এমপিও পূর্ব পাকিস্তানের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সরকারের উচিত অতি দ্রুত সম্ভব পাকিস্তান সরকারের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণ ব্যাখ্যা চাওয়া এবং সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।
এদিন হাউজ অব কমন্সে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার অ্যালেক ডগলাস হোম প্রস্তাবের সর্বশেষে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, "পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্রিটেন আশা করে যতো দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান হবে। আবার এদিকে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ উৎকণ্ঠায় আছে বটে তবে তারাও আন্তরিকভাবে এই সমস্যার সমাধান চায়।" আলোচনা শেষে পাকিস্তানকে সব রকম ব্রিটিশ সাহায্য বন্ধের প্রস্তাব বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন বিরোধীদলীয় সদস্যরা। ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে সমস্ত সাহায্য বন্ধের প্রস্তাব স্থগিত করা হয়। তবে সরকার দলীয় হাউজ অব কমন্সের সদস্যরা বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
ঢাকায় ১৫ মে
১৫ মে ঢাকায় পাকিস্তানের সামরিক গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এক বিবৃতিতে বলেন পূর্ব পাকিস্তানের সব জায়গা থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও দেশের শত্রু মুক্তিবাহিনীকে হটানো হয়েছে। এখন সীমান্ত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যা হচ্ছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র।
১৫ মে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা এ কে এম ইউসুফ খুলনায় ৯৬ জন সদস্য বিশিষ্ট নতুন একটি বাহিনী গঠন করেন। যার কর্মপদ্ধতি হবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সার্বক্ষণিক সহায়তা করা।
১৫ মে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, "নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের তিন জন এমপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে চিরতরে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন।" এদিন সেই তিন জন এমপি পৃথক পৃথক বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকার ও সামরিক বাহিনীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন।
ঢাকার বাইরে গণহত্যা ও প্রতিরোধ যুদ্ধ
পাথরঘাটা গণহত্যা
১৪ মে পাকিস্তানী হানাদারেরা বরগুনা শহর দখল করে। এরপর পাথরঘাটার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লক্ষণ দাস, তার ছেলে কৃষ্ণ দাস, অরুণ দাস ও স্বপন দাসসহ কয়েকশো নিরীহ মানুষকে আটক করে ১৫ মে পাথরঘাটার বিষখালী নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে। এদিন বিষখালী নদীর পানি রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল। এই গণহত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পটুয়াখালী জেলা সামরিক আইন প্রশাসক মেজর নাদের পারভেজ।
কেতনার বিল গণহত্যা
১৫ মে বরিশালের গৌরনদীর হরহর মৌজায় প্রবেশ করে পাকিস্তানি বাহিনী। হানাদারদের আসার খবর পেয়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার কয়েক হাজার মানুষ কেতনার বিলে ঝোপে ঝাড়ে লুকিয়ে আশ্রয় নেয়। বেলা ১১টার দিকে হানাদারেরা কেতনার বিলে প্রবেশ করে মেশিনগান দিয়ে ব্রাশফায়ার করে ১৩৫ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। নির্মম এই গণহত্যার পর হানাদারেরা কেতনার বিলের পার্শ্ববর্তী কেষ্ট পাত্রের বাড়িতে গিয়ে এক বাড়িতেই ১৯ জন মানুষকে হত্যা করে।
১৫ মে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের পাশে নালুয়া চা-বাগান এলাকায় ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের একটি সামরিক বহরে অ্যামবুশ করেন। এই অ্যামবুশে পাকিস্তান হানাদারদের একটি ট্রাক সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২৭ জন সৈন্য নিহত হয়। এসময় হানাদারেরা পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান সহযোদ্ধাদের নিয়ে কৌশলে পিছু হটেন।
১৫ মে হবিগঞ্জের ভবানীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্বে পাতা মাইনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুটো গাড়ি উড়ে যায়।
অন্যদিকে তেলিয়াপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে হানাদার বাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন সেনা এসময় আহত হন।
১৫ মে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কে নালুয়া চা-বাগান এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের একটি বহরে অ্যামবুশ করেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় হানাদার বাহিনীর বেশ কজন সৈন্য হতাহত হন। একই সঙ্গে একটি সামরিক ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
১৫ মে রাঙ্গামাটি শহরের প্রবেশ মুখে অবস্থিত মানিকছড়ির একটি পাহাড়ে একজন বাক প্রতিবন্ধী যুবকসহ একই পরিবারের চার জন সদস্যকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে হানাদারেরা।
১৫ মে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসকের বাংলোর পাশে কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে "আদার পাহাড়" এ বেশ কজন মানুষকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল হানাদারেরা।
১৫ মে পাকিস্তানি হানাদারেরা এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে প্রবেশ করে। এসময় স্থানীয় শান্তিবাহিনী ও রাজাকারদের পরামর্শে হানাদার বাহিনী নান্দাইল থানার ওসি আবদুল আওলা, শশীকান্ত রায়, রইসউদ্দিন ভূঁইয়া, সিরাজুল ইসলাম বাচ্চু, শাহ নেওয়াজ ভূঁইয়াসহ ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
১৫ মে ঠাকুরগাঁওয়ের ফারাবাড়িতে শেখ শহর আলীর ছেলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার অপরাধে শেখ শহর আলী, তার ভাই শেখ বহর আলীসহ ১৯ গ্রামবাসীকে বাড়ি থেকে ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর তাদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়। ভয়ংকর নির্যাতনের পর তাদের সবাইকে গুলি করে হত্যা করে হানাদার বাহিনী।
১৫ মে ঠাকুরগাঁওয়ের রামনাথ হাটে ১১জন নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে হানাদার বাহিনী।
তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র অষ্টম নবম, দ্বাদশ, ত্রয়োদশ খণ্ড।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ: সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস: সেক্টর ১, ৩ , ৫, ৬, ৯ ও ১১তম খণ্ড
দৈনিক পাকিস্তান - ১৬ মে ১৯৭১
দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা ১৬ মে ১৯৭১
দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা ১৬ মে ১৯৭১
দৈনিক বসুমতী, ১৬ মে ১৯৭১
দৈনিক যুগান্তর ১৬ মে ১৯৭১
আহমাদ ইশতিয়াক [email protected]
আরও পড়ুন-
১৪ মে ১৯৭১: বাড়িয়া ও নড়িয়ায় গণহত্যা
১৩ মে ১৯৭১: ডেমরা ও সাতানিখিলে নির্মম গণহত্যা
১২ মে ১৯৭১: সাতবাড়িয়া গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক তৎপরতাময় দিন
৩ মে ১৯৭১: টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন- ঢাকা এখন মৃত্যুপুরী
১ মে ১৯৭১: ‘বাংলাদেশ এখন একটি চিরন্তন সত্য ও বাস্তবতা’ ভারতীয় শিল্পমন্ত্রী
Comments