টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।’

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের বিষয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ করছেন। আমাদের তো তিন কোটি ডোজের অর্ডার আছে। তারা এ পর্যন্ত আমাদের ৭০ লাখ ডোজ দিয়েছে।’

এ ছাড়া টিকার বিষয়ে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু অগ্রগতিও আছে।’

উৎপাদনের চেয়ে টিকা কেনার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টিকা উৎপাদন সময় সাপেক্ষে। তবে, টিকা উৎপাদনের বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে।’

তাই টিকা উৎপাদনের বিষয়ে যাদের সক্ষমতা আছে, তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ আরও বেশ কিছুদিন বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন যাতে দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত বন্ধ রাখার প্রস্তাব রাখেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট খুবই অ্যাগ্রেসিভ। আমাদের দেশে কিছু পাওয়া গেছে। আমরা ট্রেস করেছি। খুব বেশি ছড়ায়নি।’

সীমান্ত বন্ধ রাখার মতো সঠিক উদ্যোগ নেওয়ার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

লকডাউনের মধ্যে ঈদযাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন, যান। কিন্তু, দেখবেন নাড়ি যেন ছিঁড়ে না যায়। অনেকে ফেরিতে গাদাগাদি করে বাড়ি গেছেন। আমরা সেটা চাইনি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, এবারের ঈদে যারা গাদাগাদি করে বাড়ি গেছেন, তাদের বেশিরভাগ যুবক বয়সী। তার মন্তব্য, বেশি সংক্রমিত হলেও এদের মৃত্যুর হার কম।

এ ছাড়া, ঈদের কেনাকাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দোকানপাটে অনেক ভিড় ছিল। অর্থনৈতিক কারণে এটা প্রয়োজন। তবে, এবার মাস্ক পরার হার আগের তুলনায় অনেক বেশি ছিল।’

Comments

The Daily Star  | English

Produce 10 ex-ministers, 2 advisers to Hasina before tribunal on Nov 18: ICT

They will be shown arrested in case filed over crimes against humanity, genocide, says prosecutor

24m ago