লিবিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

লিবিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত দশ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মরুভূমির শহর বানি ওয়ালিদের দুর্গম অঞ্চলে লিবিয়ার সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের জিম্মি দশা থেকে এই ১০ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে।
রাজধানী ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দূতাবাস জানায়, অপহৃত বাংলাদেশিরা মুক্ত হওয়ার পর দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির গত ১৬ মে তাদের সঙ্গে দেখা করে পরিচয় নিশ্চিত করেন।
উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- মাদারীপুরের মো. জায়েদ বিশ্বাস, আদনান টিটু, জুয়েল হাওলাদার, এনামুল শেখ, ইমন হোসেন ও শহিদুল হাওলাদার, কিশোরগঞ্জের আলী আসগর ও রহিম হাসান, শরীয়তপুরের মো. হিমেল এবং ফরিদপুরের শাহজালাল মুন্সি। এদের সবার বয়স ২০-২৪ বছর মধ্যে।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মাস দেড়েক আগে বাংলাদেশ থেকে দুবাই হয়ে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে আসেন অপহৃত ১০ বাংলাদেশি। সপ্তাহখানেক আগে স্থানীয় পাচারকারীদের সহায়তায় বেনগাজি থেকে রাজধানী ত্রিপোলিতে আসার সময় পথে তারা অপহৃত হন। এরপর থেকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণকারীরা তাদেরকে নির্যাতন করে আসছিল। গত ১০ মে তাদের উদ্ধার করে লিবিয়া সেনাবাহিনী।
বর্তমানে তারা সবাই সুস্থ আছেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স।
জানা গেছে, তারা মানবপাচারকারীদের সহায়তায় সাগরপথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় আসেন। তাদের পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লিবিয়ার সেনাবাহিনীর ত্রিপলী অঞ্চলের ৪৪৪-তম ব্রিগেড বানি ওয়ালিদ শহরের মানবপাচারকারী ও অপহরণকারীদের ১৬টি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১০ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ১১০ জন অপহৃত অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে বলে লিবিয়ার সেনাবাহিনীর ব্রিগেডে ফেসবুকে জানায়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে লিবিয়ার সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ করে অভিযান পরিচালনাকারী ত্রিপলী অঞ্চলের ৪৪৪-তম ব্রিগেডের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
Comments